হামজাদের বিপক্ষে খেলতে ঢাকায় সিঙ্গাপুর দল

2

ফুটবলপ্রেমীদের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ঢাকায় পা রেখেছে সিঙ্গাপুরের জাতীয় ফুটবল দল। বহু প্রতীক্ষিত এএফসি এশিয়ান কাপ ২০২৭ বাছাই পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে ১০ জুন জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে সিঙ্গাপুরের। ম্যাচটিকে ঘিরে উত্তেজনার পারদ ইতোমধ্যেই চূড়ায়।

- Advertisement -

- Advertisement -

১০ বছর পর আবার ঢাকায় এসেছে সিঙ্গাপুর দল। সর্বশেষ ২০১৫ সালে ঢাকায় এক প্রীতি ম্যাচে অংশ নিয়েছিল তারা, যেখানে বাংলাদেশকে ২-১ গোলে পরাজিত করে মাঠ ছেড়েছিল লাল-সাদা জার্সিধারীরা। সেই জয়ের আত্মবিশ্বাস ও অভিজ্ঞতা নিয়েই এবার আরও পরিণত দল নিয়ে এসেছে তারা।

ম্যাচের দুই দিন আগে দলীয় ম্যানেজার ঢাকায় এসে সব প্রস্তুতি ও সুবিধাসমূহ পর্যালোচনা করেন—হোটেল থেকে অনুশীলন মাঠ, ম্যাচ ভেন্যু থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যন্ত। সব কিছু ছকে নিয়েই শনিবার রাতে দলটি ঢাকায় পৌঁছায়।

আজ রবিবার উত্তরা আর্মড পুলিশ মাঠে বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত প্রথম অনুশীলনে নামবে সিঙ্গাপুর। ম্যাচের আগের দিন, অর্থাৎ সোমবার জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবে ঠিক বিকেল ৫টা ৪৫ থেকে ৬টা ৪৫ পর্যন্ত।

বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ফুটবল দ্বৈরথের ইতিহাসও বেশ পুরনো ও বৈচিত্র্যময়। ১৯৭৩ সালে মারদেকা কাপে মালয়েশিয়ায় প্রথমবার মুখোমুখি হয় দুই দল। কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের গোলে বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে ড্র হয় ম্যাচটি।

২০০৭ সালে আবার মারদেকায় দেখা হয়, যেখানে সিঙ্গাপুর ২-১ গোলে জয় ছিনিয়ে নেয়। তবে তখন বাংলাদেশের ছিল ‘বি’ দল, কারণ জাতীয় দল ব্যস্ত ছিল ভারতের নেহরু কাপে। ২০১৫ সালে ঢাকায় আবার মুখোমুখি হয় দুই দল, আর সেবারও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সিঙ্গাপুর।

চলতি বাছাইপর্বে দুই দলই গোলশূন্য ড্র দিয়ে শুরু করেছে অভিযান। বাংলাদেশ ড্র করেছে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে, আর সিঙ্গাপুর হংকংয়ের সঙ্গে ভাগাভাগি করেছে পয়েন্ট। ফলে ১০ জুনের ম্যাচটি হয়ে উঠেছে গ্রুপ ‘ই’-এর জন্য টার্নিং পয়েন্ট। যে দল এই ম্যাচে জয় তুলে নিতে পারবে, তারাই এগিয়ে থাকবে ২০২৭ সালের এশিয়ান কাপে খেলার সম্ভাবনায়।

ঢাকা এখন প্রস্তুত ফুটবল যুদ্ধের জন্য। এই ম্যাচ শুধু তিন পয়েন্টের নয়—এটি সম্মান, ইতিহাস এবং ভবিষ্যতের পথচালনার গল্প বলবে। ১০ জুন রাত ৭টা, চোখ থাকবে জাতীয় স্টেডিয়ামে। কে হাসবে শেষ হাসি? সময়ই বলবে।

You might also like