শমিত ইন, জামাল আউট

3

সময়ের পথচলায় কেউ হন অতীত, কেউ ভবিষ্যৎ। বাংলাদেশের একাদশে হয়তো দেখা যাবে এমনই এক মুহূর্ত—যেখানে দীর্ঘ এক যুগের আস্থার নাম জামাল ভূঁইয়া সরে দাঁড়াবেন, আর জায়গা করে নেবেন নতুন আশার আলো শমিত সোম। একজন অভিজ্ঞতার প্রতীক, অন্যজন সম্ভাবনার বার্তাবাহক।

- Advertisement -

- Advertisement -

জামাল ভূঁইয়া—বাংলাদেশ ফুটবলের ইতিহাসে এক অবিচ্ছেদ্য নাম। ২০১৩ সালে ডেনমার্ক থেকে এসে যে যাত্রা শুরু করেছিলেন, তা ধীরে ধীরে রূপ নেয় নেতৃত্ব ও আস্থায়। জাতীয় দলের জার্সিতে তার অবদান অনস্বীকার্য। তবে সময়ের নিয়মে সেই পোস্টারবয়ের এখন জায়গা হচ্ছে নতুন গল্পের পেছনে।

সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশ পাচ্ছে দুই আন্তর্জাতিক তারকা—ইংল্যান্ডে খেলা হামজা চৌধুরী ও কানাডার হয়ে খেলা শমিত সোম। দুজনই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে পাকাপোক্ত। এ অবস্থায় জামালের প্রথম একাদশে থাকাই হয়ে দাঁড়িয়েছে বড় চ্যালেঞ্জ।

এই বাস্তবতাকে স্বীকার করেছেন জামাল নিজেও। অভিজ্ঞ এই মিডফিল্ডার জানেন, সময় এসেছে পাশে বসে দলের জন্য শুভকামনা জানানোর। তবু হৃদয়ে খেলার আগ্রহে এখনও দীপ্ত তিনি।

‘‘আমি একজন ফুটবলার, খেলতে চাই সবসময়। ১০ মিনিট হোক কিংবা এক ঘণ্টা, মাঠে নামলেই নিজেকে উজাড় করে দিতে চাই। তবে যদি সেটা না-ও হয়, যারা খেলছে তাদের পাশে থাকব, অনুপ্রাণিত করব।’’

বয়স এখন ৩৫। ফিটনেসের চাপ, ম্যাচের ছন্দ—সব মিলে পুরো ৯০ মিনিট খেলার সামর্থ্য আগের মতো নেই। মার্চে ভারতের বিপক্ষে শিলংয়ে জামাল ছিলেন স্কোয়াডে, কিন্তু বদলিতেও নামেননি।

৪ জুন ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে অবশ্য তাকে দেখা গেছে হামজার পাশে, তবে সেটাও হাফ টাইম পর্যন্ত।

কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জয়ই একমাত্র লক্ষ্য। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে তার কণ্ঠে ছিল দৃঢ় প্রত্যয়।

‘‘আমরা চাই ম্যাচের শুরু থেকেই ছন্দ ধরে রেখে গোল করে এগিয়ে যেতে।’’ জামালেরও তাই কামনা—গোল হোক শুরুতেই, যেন সিঙ্গাপুরকে চাপে রাখা যায়।

ম্যাচকে ঘিরে উন্মাদনাও কম নয়। টিকিটের জন্য হাহাকার, গ্যালারিতে জ্বলে ওঠা আলো, সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তেজনার বিস্ফোরণ—সব মিলে ঢাকার ফুটবলপ্রেমীরা যেন ফিরে পেয়েছেন পুরোনো দিনের সেই নেশা।

You might also like