গত পরশু মিরপুরে তৃতীয় ও শেষ টি ২০ ম্যাচ জেতা হয়নি। পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশও করা যায়নি। দলে পাঁচ পরিবর্তনে বিপর্যয় ডেকে আনে স্বাগতিকরা। আগেই সিরিজ নিশ্চিত হওয়ায় শেষ ম্যাচে ৭৪ রানের হার নিয়ে লিটন দাস বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম প্রথম দুই ম্যাচে যারা খেলেনি, তাদের সুযোগ দেওয়া হোক। এটা আমাদের জন্য ইতিবাচক সিরিজ। আমরা সঠিক পথেই আছি।’
এশিয়া কাপের জন্য প্রস্তুতি ঠিকমতো হলো কি? লিটন বলেন, ‘এখানে যেমন উইকেট, সেভাবে খেলার চেষ্টা করেছি। পরে কেমন উইকেট হবে, ভাবিনি। এখানে ১৪০-১৫০ রানের উইকেট। এশিয়া কাপে হয়তো সেটা ১৮০ কিংবা তার বেশি রানের হতে পারে। মানিয়ে নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।’
টানা দুই সিরিজ জয়ের পরও বাংলাদেশ চিন্তামুক্ত নয়। বিশেষ করে একাদশে মোস্তাফিজুর রহমান ও জাকের আলীর বিকল্প এখনো ঠিক করতে পারেনি বাংলাদেশ। বোলিংয়ে মোস্তাফিজের কোনো বিকল্পই নেই। এ বছর মোস্তাফিজকে ছাড়া একটি ম্যাচও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। সাত ম্যাচে খেলেননি মোস্তাফিজ। সেসব ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ। এছাড়া বড় রান তাড়ায় জয়ের নজির কম। টপঅর্ডারে তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেনের বিকল্প নেই। মিডলঅর্ডারে তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলী অপরিহার্য। লিটন জানান, ‘এমনিতে সফল হলেও কিছু কিছু জায়গা থাকবেই উন্নতির জন্য। জানি কোথায় আমাদের ঘাটতি। এই সিরিজের পর অনেকদিন খেলা নেই। ৪০ দিন ধরে টানা খেলছি আমরা।’ এই লম্বা সময়ে কী করবেন? লিটন বলেন, ‘কিছুদিন বিরতির পর আবার আমরা ফিটনেসের ওপর মনোযোগ দেব। যে সুযোগ আসবে, যদি আমরা ক্যাম্প করি বা কোনো সিরিজ যদি হয়, ওটাকে আমরা আবার ম্যাচে রূপান্তর করার চেষ্টা করব।’