৮৬ লাখ টাকা পাচার করেছেন সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান: সিআইডি

২২

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অন্তত ১৩৩ কোটি টাকা উপার্জন করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

- Advertisement -

- Advertisement -

উপার্জিত এসব টাকার মধ্যে ৮৬ লাখ টাকা বিদেশে পাচারও করেছেন বলে জানানো হয়।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকেলে মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. একরামুল হাবীব এসব তথ্য জানান।

একরামুল বলেন, মোহাম্মদপুর থানায় ইমরান ও তার ব্যবসায়িক অংশীদার তৌহিদুল আলম জেনিথসহ এই চক্রের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে একটি মামলা করা হয়। তারা মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে ১৩৩ কোটি ৫৫ লাখ ৬ হাজার ৩৪৪ টাকা অর্জন করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে অনুসন্ধানে জানা গেছে। প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অনুমোদনহীন ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি ও সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে বিদেশে প্রায় ৮৬ লাখ টাকা পাচার করেছেন।

সিআইডির এ কর্মকর্তা বলেন, ইমরান ও তার সহযোগীরা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে গরু ও মহিষ বাংলাদেশে নিয়ে এসে তা বিক্রি করতেন। এছাড়া ভুটান ও নেপাল থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে ছোট আকৃতির ভুট্টি গরু বাংলাদেশে এনে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।

ইমরান প্রতারণার মাধ্যমে দেশীয় গরু-ছাগলকে ‘বিদেশি ও বংশীয়’ গরু-ছাগল বলে প্রচার করে উচ্চমূল্যে কোরবানির পশুর হাটে বিক্রি করে প্রায় ১২১ কোটি ৩২ লাখ ১৫ হাজার ১৪৪ টাকা আয় করে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছেন।

সিআইডির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, অবৈধভাবে অর্জিত মোট ১১ কোটি ৩৬ লাখ ৯১ হাজার ২০০ টাকা ইমরান ও তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান জালালাবাদ মেটাল লিমিটেডের নামে এফডিআর খুলে বিনিয়োগ করে লন্ডারকৃত সম্পদে রূপন্তর করেছেন। এছাড়া মোহাম্মদপুরের এলাকায় সরকারি খাল ভরাট ও দখল করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন।

তিনি বলেন, বিদেশ থেকে আনা ব্রাহমা জাতের ১৫টি গরু ঢাকা কাস্টমস হাউজ আটক করেছিল। পরে সেগুলো সাভারে কৃত্রিম গরু প্রজনন কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল। পরে প্রজনন কেন্দ্র থেকে সিদ্ধান্ত দেওয়া হলো, এ গরুগুলো জবাই করে তিনি ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করে দিবেন। কিন্তু এগুলো জবাই না করেই ইমরান জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজ তৈরি করেছেন জবাই করেছেন। এরপর সেগুলো প্রায় ১১ কোটি টাকা মূল্যে বিক্রি করেছেন।

তদন্ত শেষে আরও বিস্তারিত জানানোর কথা উল্লেখ করে অতিরিক্ত ডিআইজি একরামুল হাবীব বলেন, ইমরান হোসেন যে মানিলন্ডারিং করেছেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে অবৈধ লেনদেনের তথ্য, তদন্তের স্বার্থে ওই বিষয়গুলো গোপন রাখতে হচ্ছে। টাকাগুলোর উৎস, রিপ্লেসমেন্ট এবং লেয়ারিং হয়েছে, তাতে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে তিনি মানিলন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত।