মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনার ঘটনায় জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আরও ২ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন
রাজধানী উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনার ঘটনায় আহত হয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আরও ২ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন।
তবে কিছু টেস্ট (পরীক্ষা) বাইরে থেকে করানোর বিষয়ে রোগীর স্বজনদের অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে, তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের আহ্বান জানান।
ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন বলেন, আমাদের হয়ত দুই-একটি টেস্ট বাইরে থেকে করানো লাগে। সেগুলো আমরা আমাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে পরীক্ষা করাচ্ছি। সাধারণভাবে এই পরীক্ষাগুলো সচরাচর হয় না। তাই, এই পরীক্ষাগুলো একেবারে নিজেদের তত্ত্বাবধানে আমাদের নিজেদের অর্থ দিয়ে করানো হচ্ছে।
আজ রোববার দুপুরে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান তিনি।
ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন বলেন, ‘আজ কোনো খারাপ খবর নেই। আমরা নতুন করে কাউকে মৃত ঘোষণা করছি না। আমাদের এখন পর্যন্ত ভর্তি রোগী ৩৪ জন। এর মধ্যে ২৮ জন শিশু। আমরা আজ দুইজনকে ছাড়পত্র দিয়েছি। তারা প্রাপ্ত বয়স্ক। দুইজনের একজন হলে কাজী আমজাদ সাইফ। উদ্ধার করতে গিয়ে তিনি দগ্ধ হন।’
তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে আইসিইউতে আছে ৪ জন। আর ভেন্টিলেশনে আছে ২ জন। পুরুষ এইসডিইউতে ৩ জন, আর নারী এইসডিইউতে আছেন ৬ জন। এছাড়াও পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে আছেন ৮ জন এবং কেবিনে ১২ জন। তাদের মধ্যে ক্রিটিকাল কন্ডিশনে আছেন ৪ জন, সিভিআর কন্ডিশনে ৯ জন। এর মধ্যে ইনহেল্যুশন ইনজুরি আছে ৭ জনের, আর ৩০ শতাংশের উপরে দগ্ধ ৬ জন। তিনি জানান, একটু ক্রিটিকাল স্টেজে অর্থাৎ খারাপ অবস্থায় গেছে আমাদের ২ জন।
ডা. মোহাম্মদ নাসির বলেন, রোগীর স্বজন অনেকে অভিযোগ তুলছেন, কিছু টেস্ট বাইরের হাসপাতাল থেকে করানো লাগছে, যার খরচ বহন করছেন তারা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। যদি কেউ থাকেন, তাহলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। কারণ, আমাদের হয়তো দুই একটি টেস্ট বাইরে থেকে করানো লাগে। আমরা নিজস্ব তত্ত্বাবধানে পরীক্ষাগুলো করাচ্ছি। পরীক্ষাগুলো সচরাচর হয় না। তাই, এই পরীক্ষা একেবারে নিজেদের তত্ত্বাবধানে অর্থ দিয়ে করানো হচ্ছে।’