‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে, রইবোনা আর বেশি দিন তোদের মাজারে’-গানের কথার মতোই দয়ালের ডাকে ওপারে চলে যান প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোর।
রবিবার এই কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পীর মৃত্যুদিবস। ২০২০ সালের এই দিনে ৬৪ বছর বয়সে মারা যান তিনি।
নন-হজকিন লিম্ফোমা নামক ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেছিলেন এন্ড্রু কিশোর। ক্যান্সার নিয়েই ২০২০ সালের ১১ জুন দেশে ফেরেন। এর কয়েকদিন পরেই পরপারে পাড়ি জমান এ শিল্পী।
এন্ড্রু কিশোর ১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বর রাজশাহী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ক্ষীতিশ চন্দ্র বাড়ৈ এবং মাতা মিনু বাড়ৈ। রাজশাহীতে আব্দুল আজিজ বাচ্চুর অধীনে প্রাথমিকভাবে সংগীত শুরু করেন তিনি।
প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে তার যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৭ সালে আলম খানের সুরে ‘মেইল ট্রেন’ চলচ্চিত্রের ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই’ গানের মধ্য দিয়ে।
তবে এ জে মিন্টু পরিচালিত ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রতিজ্ঞা চলচ্চিত্রের ‘এক চোর যায় চলে’ গান দিয়ে তিনি জনপ্রিয়তা লাভ করেন। এরপর তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গান- ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যে খানে’, ‘ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা’ ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন’ ‘পড়েনা চোখের পলক’ ও ‘তোমায় দেখলে মনে হয়’।
সত্তর দশক থেকে শুরু করে এখনো নতুন প্রজন্মের মুখে মুখে ফেরে এন্ড্রু কিশোরের গান। সংগীতপিপাসুদের মাঝে গানে গানে চিরদিন বেঁচে থাকবেন তিনি।