বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করল ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিসর সঙ্কুচিত হচ্ছে।’’ খবর আনন্দবাজারের।
সেই সঙ্গে মুখপাত্র আরও বলেন, ‘‘আমরা আশাবাদী, দ্রুত বাংলাদেশে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। গণতন্ত্র ফিরে আসবে।’’
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিতে ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ সংঘাতের মধ্যে আবহেই গত শনিবার মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হচ্ছে আওয়ামী লীগের কার্যকলাপ।
ইউনূস সরকারের বিবৃতি অনুযায়ী, বাংলাদেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাক্ষীদের সুরক্ষার স্বার্থেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আনন্দবাজার লিখেছে, “বস্তুত, বাংলাদেশে গত বছরের ৫ অগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠতে শুরু করেছিল সে দেশের অন্দরে। আওয়ামী লীগের ছাত্রশাখা বাংলাদেশ ছাত্র লীগকে কয়েক মাস আগেই নিষিদ্ধ সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করেছিল ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।”
সম্প্রতি বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-সহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে টানা তিন দিন ধরে কর্মসূচি শুরু করেছিল। গত শুক্রবার থেকে ‘শাহবাগ ব্লকেড’ নামে একটি কর্মসূচিও শুরু করেছে তারা। সেই আবহেই শনিবার উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে বৈঠকে বসে হাসিনার দলকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন মুহাম্মদ ইউনূস।