নাইকো মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস

৫১

নাইকো দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আট আসামির সবাইকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

- Advertisement -

- Advertisement -

বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার।

তারা জানান, অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় খালেদা জিয়াসহ ৮ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। দুদকের কর্মকর্তাদের ব্যবহার করে দীর্ঘ ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে মামলা দিয়ে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করেছেন শেখ হাসিনা। দুদকের তৎকালীন কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

নাইকো দুর্নীতি মামলায় সব আসামি খালাস পাওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সবাই ন্যায় বিচার পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল। রায়ের পর হাইকোর্টে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।

কায়সার কামাল বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে কালিমালেপন ও খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে নাইকো দুর্নীতি মামলার মাধ্যমে দিনের পর দিন আদালতের কাঠগড়ায় হাজির করেছেন। অথচ ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা নিজের বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলা প্রত্যাহার করেছিলেন।

কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালে এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দুদক ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বিচারক রবিউল আলমের আদালত রায় ঘোষণার দিন ১৯ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেন। ওই দিন আদালতে খালেদা জিয়ার খালাস চেয়ে শুনানি করেন তার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাক্ষ্য দেন।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলা করে দুদক। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দাখিল করা হয়। গত বছরের ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে অভিযোগ গঠন করেন।

এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম।