মসজিদে খুতবা প্রদানের ক্ষেত্রে আরও জনহিতকর বিষয়গুলো তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ।
বুধবার দুপুরে সিলেটে একটি অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।
হাওর অঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশের সুরক্ষা-জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও মানুষের জীবন মান উন্নয়ন সম্পর্কে ইমামদের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধকরণ বিষয়ক বিভাগীয় সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
এ সময় ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, হাওর অঞ্চলের প্রাণ প্রকৃতি রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে ধর্মীয় নেতাদের। বিশেষ করে মসজিদের ঈমামদের এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার দায়িত্ব নিতে হবে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘পুরোনো খুতবা আমরা রাখব। সাথে সাথে জীবনঘনিষ্ট, জনবান্ধব বিষয়গুলো আমরা মুসল্লিদের কাছে তুলে ধরব। সুলি-সুনাই, অতীত কাহিনি এবং এ সমস্ত কিতাব থেকে কথা না বলে ডকুমেন্টারি, মাদ দালায়েল, মানুষের জীবনে কাজে লাগে এ সমস্ত কথাগুলো খুতবায় তুলে ধরতে হবে। কিসসা-কাহিনি বলে সময় পার করে দেওয়া, যেগুলোর কোনো বেজ নাই, কোনো ডকুমেন্ট নাই…(সেগুলো না বলা)। একেবারে সহিহ হাদিস বা কুরআন শরীফের তফসির দিয়ে, সমমায়িক ব্যাপারগুলো নিয়ে উপস্থাপন করলে জনগণ সেগুলো লুফে নেয়। আর পুরোনো কথাগুলো বললে মানুষ সেগুলো শুনতে চায় না। এ জন্য আমরা ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে আমরা একটি খুতবাও প্রিন্ট করে দিয়েছি। আপনি এর সাথে আরও যুক্ত করতে পারেন।’
রমজানের বাজারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘নিত্যপণ্যের ব্যাপার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ। তবে যেহেতু রমজান এ জন্য আমরা ক্যাবিনেট মিটিং করেছি। সেখানে বাণিজ্য উপদেষ্টাকে বলেছি সয়াবিন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। উনি তিন-চার দিন অপেক্ষা করতে বলেছেন। তবে আমরা উপদেষ্টাদের সাথে কথা বলেছি, রজমান মাসে যাতে নিত্যপণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে এ ব্যাপারে আমাদের সরকার অত্যন্ত সচেতন।’
ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত এই সেমিনারে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা উন নবীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি, মো. মুশফিকুর রহমান, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার মসজিদের ইমামরা।