কুমিল্লার মুরাদনগরের আলোচিত ধর্ষণ মামলার মূল আসামি ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার ভোরে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান।
তিনি বলেন, আহত ফজরকে আইন অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়ার পর আদালতে উপস্থাপন করা হবে। আর নির্যাতনের ঘটনার ভিডিও ধারণ ও ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অনিক, সুমন, রমজান ও বাবু নামের চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে আলাদা মামলা দায়ের করা হবে।
গ্রেপ্তার পাঁচজনই মুরাদনগরের পাঁচকিত্তা এলাকার বাসিন্দা বলে জানান তিনি।
ভুক্তভোগীর বিবস্ত্র ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর তা নিয়ে দেশ-বিদেশে সমালোচনা চলছে।
জেলা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে মুরাদনগরে একটি গ্রামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফজর আলী নামে এক ব্যক্তি আটক ও পিটুনির শিকার হয়। পরে ফজর সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে কিছু ব্যক্তি ভুক্তভোগীর ভিডিও ধারণ করে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়। পরে মুরাদনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ‘আইনানুগ ব্যবস্থা’ গ্রহণ করে।
মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, ফজর আলীকে আসামি করে শুক্রবার মামলা করেছেন এক হিন্দু নারী। বাদীর মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়েছে, সপ্তাহ দুয়েক আগে ওই নারী বাবার বাড়ি বেড়াতে আসেন। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার পর ওই নারীর বাবা-মা বাড়ির বাইরে যান। তখন ফজর আলী বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করেন। পরে স্থানীয়রা এসে ফজর আলীকে ধরে মারধর করে এবং কেউ কেউ ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়।
ওই নারী বলেন, টাকা ধার নেওয়া নিয়ে ফজর আলীর সঙ্গে তাদের পরিবারের পরিচয় ঘটে। এ সূত্র ধরেই ফজর আলী বাড়িতে প্রবেশ করে।