মাগুরায় আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ে অন্য তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
শনিবার সকালে মাগুরা জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এই রায় ঘোষণা করেন।
খালাস পাওয়া তিনজন হলেন- সজীব শেখ, তার ভাই রাতুল শেখ এবং তাদের মা রোকেয়া বেগম।
রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সকাল নয়টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় চার আসামিকে ঝিনাইদহ কারাগার থেকে মাগুরার আদালতে আনা হয়।
প্রথমে তাদের রাখা হয় মাগুরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের গারদে। এরপর নেওয়া হয় পাশে থাকা মাগুরা দায়রা জজ আদালতের দ্বিতীয় তলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে। আসামিদের উপস্থিতিতে বিচারক চাঞ্চল্যকর এই মামলাটির রায় ঘোষণা করেন।
এদিকে মামলাটির রায় ঘিরে সকালে আদালত চত্বরে আসেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। মামলার রায় জানতে আদালত প্রাঙ্গণে ভিড় করেন উৎসুক জনতা।
শ্রীপুর উপজেলার ৮ বছরের শিশুটি গত ১ মার্চ মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বড় বোনের বাড়ি বেড়াতে যায়। সেখানে গত ৬ মার্চ সে ধর্ষণের শিকার হয়।
প্রথমে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যার হাসপাতাল, পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনা হয়।
সবশেষ গত ১৩ মার্চ চিকিৎসারত অবস্থায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যায় শিশুটি।
ওইদিন সন্ধ্যায় হেলিকপ্টারে মরদেহ মাগুরায় নেওয়া হয়। জানাজার পর উত্তেজিত জনতা শিশুটির বোনের শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেয়।
এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে ৮ মার্চ মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখ, জামাই সজীব শেখ, তার ভাই রাতুল শেখ ও তাদের মা রোকেয়া বেগমকে আসামি করা হয়। এরপর পুলিশ চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
১৩ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে ১৭ এপ্রিল মামলাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয় এবং ২০ এপ্রিল অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়।
২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় বিচার কার্যক্রম। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ২৭ এপ্রিল।
তার আগে গত ১৫ মার্চ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায়ের আদালতে শিশুটির বোনের শ্বশুর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তিনি বলেন, ৬ মার্চ সকালে বোনের স্বামীর কক্ষে শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেন।
মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দেন ২৯ জন। ছুটির দিন বাদে টানা শুনানি করে ১২ কার্যদিবসে শেষ হয় বিচার। অভিযোগ গঠনের পর দ্রুত সময়ের মধ্যে আলোচিত মামলাটির রায় ঘোষণা করেন জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।

সম্পাদক :মোঃ শাহজালাল
২০২৫ © ব্যানারনিউজবিডি কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
🚧 এই সাইটটি বর্তমানে নির্মাণাধীন 🚧
২০২৫ © ব্যানারনিউজবিডি কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
🚧 এই সাইটটি বর্তমানে নির্মাণাধীন 🚧
You cannot print contents of this website.