সম্প্রতি ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের সৌদি আরবের এক ক্লাবে যাওয়া নিয়ে গুঞ্জন উঠে। শোনা যায়, তার জন্য মোটা অঙ্কের প্রস্তাব নিয়ে বসে আছে সৌদি আরবের সেই ক্লাব।
তাহলে কি আগামী গ্রীষ্মেই রিয়াল ছাড়বেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড? এমন প্রশ্নই শুনে বিরক্তি প্রকাশ করেন তার কোচ কার্লো আনচেলত্তি। তিনি জানালেন, ভিনিসিয়ুস রিয়ালে সুখেই আছে।
তাহলে কি রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে নতুন চুক্তির আশা করছেন তিনি?
রিয়ালে এটি ভিনিসিয়ুসের সপ্তম মৌসুম। ২০১৮ সালে মাদ্রিদে পাড়ি জমান তিনি। শুরুতে মানিয়ে নিতে কষ্ট হলেও গত কয়েক মৌসুম ধরে রিয়ালের জার্সিতে আলো ছড়াচ্ছেন এই ফরোয়ার্ড। গতবার ব্যালন ডি’অর পাওয়ার ক্ষেত্রেও ছিলেন অন্যতম দাবিদার। কিন্তু ম্যানচেস্টার সিটি মিডফিল্ডার রদ্রির পেছনেই থাকতে হয় শেষ পর্যন্ত। ফর্মে থাকা এই ব্রাজিলিয়ানকে পেতে তাই মরিয়ে হয়ে আছে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব।
আনচেলত্তি বলেন, ‘এবিষয়ে কথা বলতে বলতে আমি ক্লান্ত, তবে চিন্তিত নই। সে সুখেই আছে এবং আমরাও তাকে নিয়ে সুখে আছি। গত সপ্তাহে যা বলেছিলাম এরপর এটা নিয়ে আর বলার কিছুই নেই। এনিয়ে আমরা আলোচনা করি না, সেও করে না।’
সবশেষ ম্যাচে চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানচেস্টার সিটিকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে রিয়াল। কোনো গোল না করলেও দুটি অ্যাসিস্ট করে সেই ম্যাচে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন ভিনিসিয়ুস।
আনচেলত্তি বলেন, ‘আমি যা বলতে পারি তা হলো, সে ভালো করতে মুখিয়ে আছে এবং ক্লাবের হয়ে ইতিহাস লিখতে চায়। আমি তাকে বরাবরই একইরকম দেখি। শেষ ম্যাচে সে খুবই ভালো খেলেছে। প্রচুর চাপ থাকা সত্ত্বেও ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। বিশেষ করে এই ম্যাচের তাই আমি তাকে খুবই অনুপ্রাণিত দেখছি।’
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যোগ দেওয়ার পর সৌদি প্রো লিগ যেন তারকার হাট। সম্প্রতি ২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক হয়েছে সৌদি আরব। তাই নিজেদের সংস্কৃতিকে ফুটবল বিশ্বে ফুটিয়ে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে তারা। তারকা ফুটবলারদের দলে ভেড়াতে একের পর এক লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে যাচ্ছে দেশটির ক্লাবগুলো। তাই আনচেলত্তি মনে করেন ভবিষ্যতে ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোর জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে সৌদি প্রো লিগ।
রিয়াল কোচ বলেন, ‘ফুটবলে একটি দেশ বিনিয়োগ করতে চাইলে, তাতে আমাদের অবাক হওয়ার কিছু নেই। ২০৩৪ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নেওয়ার অধিকার সৌদি আরবের আছে। মার্কেটটি হয়তো এখন কম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ তবে ভবিষ্যতে এটি ইউরোপের মতোই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে উঠবে। আমি যদি ফুটবলে থাকতে চাই, তাহলে অবশ্যই সেখানে কোচিং করানোর কথা ভাবব। কিন্তু প্রশ্নটা হলো রিয়াল ছাড়ার পর আমি আর কোচিং করাতে চাই কি না।’