শ্রমিকদের পাওনা ২৭ মার্চের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে বলে হুঁমিয়ারি দিয়েছেন শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
পরিশোধ না করলে কঠোর ব্যবস্থাসহ মালিকদের বিদেশে যাওয়া বন্ধ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাড়ি-গাড়ি বিক্রি করে হলেও বেতন ভাতা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নৌ পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ সময় শ্রম উপদেষ্টা বলেন, `১০/১২টি প্রতিষ্ঠানে সমস্যা আছে। এর মধ্যে পুরোনো বেতন ভাতা নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষ আছে। ১২টা প্রতিষ্ঠানের মালিক বিদেশে যেতে পারবে না। মার্সিডিজ বেঞ্চ চালায়, বড় বড় বাড়ি আর ঈদ এলে শ্রমিকদের বেতন দিতে গিয়ে বলবেন টাকা নেই এটা হবে না।’
ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, `৯৯ ভাগ গার্মেন্টসে বেতন ভাতা হয়ে গেছে। ২২৫০ কোটি টাকা ইনসেন্টিভ দেওয়া হয়েছে। বাজার অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আছে। ভোজ্য তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে মনিটরিং করা হয়েছে। পোর্টে পণ্য খালাস না করে দাম বৃদ্ধির চেষ্টা প্রতিহত করা হয়েছে। খেজুর, ছোলাসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম আগের চেয়ে কম ছিল। এজন্য সরকারকে ক্রেডিট দেওয়া উচিত।’
এ সময় শ্রম উপদেষ্টা বলেন, `মোংলা বন্দরকে কোল্ড পোর্ট হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সেখানে যেন হিমায়িত সবজি ও মাছ আমদানি রপ্তানির জন্য আলাদা কোল্ডস্টোরেজের প্রয়োজন না হয়।’
ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, শ্রম ইস্যুতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আইএলও মামলা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এটা হলে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতো। তবে, আমরা আলোচনা করে, বাংলাদেশের অবস্থান ব্যাখ্যা করার পর তারা মামলার সময় আগামী মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে একজন ছাড়া কোন শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়নি। বেক্সিমকোর ঘটনায় ফৌজদারি অপরাধের কারণে কবির নামে একজন শ্রমিক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়গুলো আইএলওকে জানিয়েছি।