রাজধানীর রামপুরায় এক নারী সাংবাদিককে হেনস্তা ও মারধরের ঘটনার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান-র্যাব। তাদের মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত সোয়েব রহমান জিশানও আছেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী সাংবাদিকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে এলিট ফোর্সটি।
র্যাবের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বুধবার রাত আটটার দিকে বনশ্রীর ই-ব্লকের তিন নম্বর সড়কের একটি জুসের দোকানের সামনে ওই নারী সাংবাদিককে হেনস্তার অভিযোগ আসে। তখন ওই
ভুক্তভোগী নারী সাংবাদিক জানান, রাত সাড়ে সাতটা থেকে আটটার দিকে আমি এবং আমার ছোট ভাই বনশ্রী ই-ব্লকের তিন নম্বর রোডের মুখে বাসার সামনে একটি জুসের দোকানে ছিলাম। এ সময় কয়েকজন স্থানীয় যুবক আমাকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে। আমার ভাই প্রতিবাদ করলে তারা প্রথমে তাকে মারধর করে। বাধা দিতে গেলে তারা আমাকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে, শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে আঘাত করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী সাংবাদিক রামপুরা থানায় জিসান ও পার্থিব নামে দুইজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১০-২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার পর বুধবার রাত ও বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্তসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এলিট ফোর্সটির পক্ষ থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রামপুরা এলাকায় যৌন হয়রানি সংক্রান্ত একটি ঘটনা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত হলে তা ব্যাপকভাবে চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি করে। বিষয়টি নজরে আসার পর র্যাব-৩ ছায়া তদন্ত শুরু করে।
ওই ঘটনায় রামপুরা থানায় করা মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-৩ এর একাধিক গোয়েন্দা ও অপারেশনাল টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করে।
গোয়েন্দা সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় প্রধান অভিযুক্ত সোয়েব রহমান জিশানকে গতকাল গভীর রাতে রামপুরা থানার মেরাদিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রমনা থানার বেইলি রোড এলাকা থেকে রাইসুল ইসলাম এবং শ্যামপুর থানার গেন্ডারিয়া এলাকা থেকে কাউসার হোসেনকে সকালে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।