রাজশাহীতে দুর্ঘটনায় জামায়াতকর্মীদের বাস, নিহত ৩

রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর খড়খড়ি বাজার এলাকার বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দুটি বাস ও একটি ট্রাকের ত্রিমুখী সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন বলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন।

নিহতরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার রাণীহাটি ইউনিয়নের ঘোড়া পাখিয়া গ্রামের সাদিকুল ইসলামের ছেলে জুয়েল আহমেদ (৪০), বেলায়েত হোসেনের ছেলে নাসিম উদ্দিন (৪৫) ও জোবদুল হকের ছেলে মিজানুর রহমান (৩২)।

আহতদের মধ্যে ৪০ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রাজশাহী মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন সরকার বলেন, দুটি বাসে প্রায় ৯০ জন যাত্রী ছিল। তাদের সবাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার রাণীহাটি ইউনিয়ন শাখা জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী ও সমর্থক। জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর কবর জিয়ারত করতে পিরোজপুর যাচ্ছিলেন তারা।

তিনি বলেন, “দুর্ঘটনায় দুই বাসের অর্ধশত যাত্রী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ৪০ জনকে হাসপাতালের ভর্তি করা হয়। আর তিনজন জামায়াত কর্মী মারা গেছেন।”

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র ও জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সংকর কে বিশ্বাস বলেন, হাসপাতালে আহত অবস্থায় ৪৩ জনকে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। বাকি ৪০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

“আহতদের মধ্যে ১৫ জনের শারীরিক অবস্থা গুরুতর। তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, “রাজশাহী বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি ট্রাকের সঙ্গে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটি ছিটকে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে উল্টে যায়। এ সময় ট্রাকটি পেছনের আরেকটি বাসের সঙ্গে ধাক্কা খায়। তখন ওই বাসটিরও এক পাশ দুমড়ে-মুচড়ে আগুন লেগে যায়।

“পরে যাত্রীরা দ্রুত বাস থেকে নেমে আগুন নেভায় এবং খাদে পড়ে যাওয়া বাসের যাত্রীদের উদ্ধারে চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন গিয়ে খাদে পড়ে যাওয়া বাস থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।”

আরিফুল বলেন, আমরা গিয়ে খাদে পড়ে থাকা বাস থেকে বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করেছি। পরে গুরুতর আহত সাতজনকে হাসপাতালে পৌঁছে দেই। তবে ফায়ার সার্ভিস পৌঁছানোর আগেই স্থানীয় লোকজন বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।