গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে পুলিশ সদর দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল সোমবার সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন শহরে দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে এবং পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।
যেসব প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও বলা হয়।
সোমবার রাতে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন শহরে দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।
আইজিপি বলেন, আমাদের কাছে হামলাকারীদের ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। তাদের শনাক্ত করা হচ্ছে এবং অতিদ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। পুলিশ টিম এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিল থেকে সোমবার দেশের অন্তত ছয় জেলায় ‘ইসরায়েলি পণ্য রাখা ও বিক্রি’ করার অভিযোগ তুলে ধরে ১৬টি রেস্তোরাঁ ও বিক্রয় কেন্দ্রে হামলা-ভাঙচুরের খবর এসেছে।
কক্সবাজারে পাঁচটি, চট্টগ্রামে তিনটি, সিলেট পাঁচটি, গাজীপুরে চারটি, কুমিল্লায় একটি এবং বগুড়ায় একটি প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
গাজায় নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলার প্রতিবাদে সোমবার বিশ্বব্যাপী ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের জেলায় জেলায় শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ মিছিল, স্লোগান-সমাবেশ ও ধর্মঘট পালন করেন।
সকাল থেকে সারাদেশের জেলা-উপজেলা শহর ছিল প্রতিবাদমুখর। এসব বিক্ষোভের মধেই বিক্ষুব্ধ কিছু মানুষ ফাস্ট ফুড চেইন কেএফসি, পিৎজা হাট, বাটার মত আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের বিক্রয় কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। পাশাপাশি কোমল পানীয় কোকাকোলা, সেভেন আপ রাখায় দেশি প্রতিষ্ঠানে হামলা করা হয়।