রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের করা একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তারের ঘটনাকে ‘বিব্রতকর’ বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
সোমবার বেলা ১১টা ১২ মিনিটে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ফারুকী লিখেছেন, “আমি সাধারণত চেষ্টা করি আমার মন্ত্রণালয়ের কাজের বাইরে কথা না বলতে। কিন্তু আমার তো একটা পরিচয় আছে, আমি এই ইন্ডাস্ট্রিরই মানুষ ছিলাম এবং দুইদিন পর সেখানেই ফিরে যাবো।”
তিনি লিখেছেন, “নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার বিব্রতকর একটা ঘটনা হয়ে থাকলো আমাদের জন্য। আমাদের সরকারের কাজ জুলাইয়ের প্রকৃত অপরাধীদের বিচার করা। ঢালাও মামলার ক্ষেত্রে আমাদের পরিষ্কার অবস্থান প্রাথমিক তদন্তে সংশ্লিষ্টতা না থাকলে কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে না।”
“এবং সেই নীতিই অনুসরণ করা হচ্ছিলো,” বলেন ফারুকী।
“ফারিয়ার বিরুদ্ধে এই মামলা তো অনেকদিন ধরেই ছিলো। সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত শেষ হওয়ার আগে গ্রেপ্তারের কোনো উদ্যোগ নেয়ার বিষয় আমার নজরে আসেনি।”
স্ট্যাটাসে তিনি আরও বলেন, “কিন্তু এয়ারপোর্টে যাওয়ার পরেই এই ঘটনাটা ঘটে। আওয়ামী লীগের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশ গমনকে কেন্দ্র করে ক্ষোভের পর ওভার নার্ভাসনেস থেকেই হয়তোবা এইসব ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।”
ফারুকী উল্লেখ করেন, “কয়দিন আগে ব্যারিস্টার আন্দালিব পার্থের স্ত্রীর সঙ্গেও এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে। এইসব ঘটনা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য না।”
তিনি আশা প্রকাশ করে লেখেন, “আমি বিশ্বাস করি ফারিয়া আইনি প্রতিকার পাবে। এবং এই ধরনের ঢালাও মামলাকে আমরা আরো সংবেদনশীলভাবে হ্যান্ডেল করতে পারবো—এই আশা। আমাদের মনে রাখতে হবে, আমাদের প্রধান কাজ জুলাইয়ের প্রকৃত অপরাধীদের বিচার করা।”
রবিবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় ফারিয়াকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পুলিশ জানায়, ভাটারা থানায় করা একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। মামলায় অভিযোগ, জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের সময় নুসরাত ফারিয়া হত্যাচেষ্টায় জড়িত ছিলেন।
সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে।