‘জুলাই আহতদের দ্বন্দ্বে’ কর্মবিরতি চক্ষু হাসপাতালে

2

জুলাইয়ের আন্দোলনে আহতদের মধ্যে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে।
মঙ্গলবার পরিচালককে অবরুদ্ধ ও কক্ষে আগুন লাগানোর চেষ্টার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতালজুড়ে। এ ঘটনায় নিরাপত্তার অভাব দেখিয়ে বুধবার চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা একযোগে কর্মবিরতিতে গেছেন।
সকাল থেকেই হাসপাতালের সব চিকিৎসক ও কর্মী এই কর্মবিরতিতে অংশ নেন।
চক্ষু হাসপাতালের এক চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে দেশকাল নিউজকে বলেন, “হাসপাতালে থাকা জুলাই আহতদের দুইটা পক্ষ আছে। একটা যারা বিষ খেয়েছে, অপরটি যারা খায়নি। বিষ খাওয়া আহতরা হাসপাতালে ফেরার পর তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে।
“একপর্যায়ে তারা পরিচালক স্যারকে তার রুমে অবরুদ্ধ করে। কয়েকজন কেরসিন দিয়ে আগুন লাগানোরও চেষ্টা করে। পরে আহতদের একটা পক্ষ ও হাসপাতালের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে।”
এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতালের কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জানিয়ে ওই চিকিৎসক বলেন, “এমন পরিবেশে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব নয়, আমরা সবাই আতঙ্কে আছি।”
মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালের পরিচালক খায়ের আহমেদ চৌধুরীর কক্ষে বিষপান করা চার যুবক ও তাদের সহযোগীরা উপস্থিত হয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন।
তারা বলেন, “পরিচালক একপক্ষের হয়ে কাজ করছেন এবং বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর তালিকায় পক্ষপাত করছেন।”
চিকিৎসক খায়ের আহমেদ দেশকাল নিউজকে বলেন, “আহতদের নিজেদের মধ্যেই নানা ধরনের কোন্দল রয়েছে। কেউ বলছে, অনুদানের টাকা তারা পায়নি, কেউ বলছে, বিদেশে পাঠানোর তালিকায় নাম নেই।
“মঙ্গলবার প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন আমার কক্ষে প্রবেশ করে হট্টগোল শুরু করে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাই। সেনাবাহিনীর সদস্যরা আসার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।”
খায়ের আহমেদ আরও বলেন, “আকতার হোসেন নামে একজন পেট্রোল নিয়ে আসে, তখন পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়। আমি আহতদের আরেকটি গ্রুপের সহায়তায় কক্ষ থেকে বের হয়ে আসি।”
ঘটনার পর চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলতে পারে বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে।

- Advertisement -

- Advertisement -

You might also like