করোনাভাইরাস নিয়ে নতুন করে আতঙ্কের মধ্যে আরও ৫ জনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্ত হার ১২ দশমিক ২০। তবে এ সময় নতুন করে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
সোমবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয় ৫ জনের। উল্লিখিত সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬ জন।
গত ৫ জুন নতুন করে করোনায় একজনের মৃত্যু হয়। আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। এ অবস্থায় ঈদ উপলক্ষ্যে ট্রেনের ফিরতি যাত্রায় যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে এবং মাস্ক পরার অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় মাস্ক ব্যবহারের অনুরোধ করে বয়স্ক এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের ভিড়যুক্ত স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এ ধরনের সতর্কতা সময়োপযোগী বলে মনে করেন।
২০২০ সালে করোনার সংক্রমণ শুরুর পর থেকে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত দেশে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৪৭ জনে। আর মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৫০০ জন। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৬ জন।
মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ২০ শতাংশ। গতকাল সংখ্যাটি ছিল ৭৫ শতাংশ।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
২০২২ সাল থেকে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসতে থাকে। ফলে তুলে নেওয়া স্বাস্থ্যবিধির সতর্কতা। তবে ভাইরাসটির নতুন সংস্করণের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীমুখী ট্রেনযাত্রায় যাত্রীদের জন্য মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মানার আহ্বান জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।