নির্বাচনি প্রতীক হিসেবে জাতীয় ফুল ‘শাপলাকে’ ব্যবহার না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার রাতে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারির পর ‘শাপলাকে’ নির্বাচনি প্রতীক হিসেবে চেয়ে আবেদন করেছিল দুটি দল।
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নাগরিক ঐক্য তাদের প্রতীক পরিবর্তনের আবেদন করে। একইসঙ্গে নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নিবন্ধন আবেদনে শাপলাকে প্রতীক হিসেবে চায়।
এছাড়া, কলম ও মোবাইলকেও বিকল্প হিসেবে রাখে এনসিপি।
কোন দলকে প্রতীকটি বরাদ্দ দেওয়া হবে তা নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যে ‘শাপলাকে’ তফসিলভুক্ত না করার সিদ্ধান্ত নিল ইসি।
সংসদ নির্বাচনের ভোটে বরাদ্দ দেয়ার জন্য বর্তমানে ইসির তফসিলভুক্ত ৬৯টি প্রতীকের মধ্যে ৫০টি প্রতীক বরাদ্দ রয়েছে রাজনৈতিক দলের জন্য।
নির্বাচন কমিশনার মাছউদ বুধবার রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, “নতুন প্রস্তাবিত প্রতীক তালিকায় শাপলা রাখা হচ্ছে না। নির্বাচনি প্রতীক হিসেবে আমাদের সিডিউলভুক্ত হচ্ছে না। আমরা নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
শাপলাকে ভোটের মার্কা করার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মাছউদ বলেন, “জাতীয় প্রতীক শাপলা ও জাতীয় পতাকার বিষয়ে সুস্পষ্ট আইনে বলা রয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি শাপলা প্রতীক তফসিলে থাকবে না। জাতীয় প্রতীকের কারণেই মূলত এ সিদ্ধান্ত।”
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার সংসদ নির্বাচনের জন্য আগের ৬৯টি প্রতীক থেকে বাড়িয়ে অন্তত ১১৫টি প্রতীক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর জন্য বরাদ্দ করতে যাচ্ছে। নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় প্রতীক তালিকার তফসিল সংশোধন করে ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে তা পাঠানো হবে শিগগির।