গোপালগঞ্জে গুলিতে নিহতদের মরদেহ তাদের স্বজনরা নিয়ে গেছে বলে ময়নাতদন্ত হয়নি—এ মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করা সম্ভব।
শনিবার রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
গত বুধবার এনসিপির সমাবেশে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলার পর যারা গুলিতে নিহত হয়েছেন, তাদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই সমাহিত করা হয়েছে। এতে কাদের গুলিতে তারা নিহত হয়েছেন, সেই বিষয়টি জানার সুযোগ যেমন নেই, তেমনি কোনো অন্যায় হলে তার প্রতিকারের সুযোগও নেই বলে আইনবিশারদরা জানিয়েছেন।
এ নিয়ে সমালোচনার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “ঢাকার যেটা আছে, সেটার ময়নাতদন্ত হচ্ছে। আর কয়েকটা ডেডবডি তারা নিজেরা নিয়ে চলে গেছে, ময়নাতদন্ত কীভাবে হবে?”
বুধবার গোপালগঞ্জে চারজন এবং গুলিবিদ্ধ আরও একজন পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, “ওইগুলোর যদি দরকার হয়, ময়নাতদন্ত হবে। ডেডবডি তো প্রয়োজন হলে উত্তোলন করেও ময়নাতদন্ত করা যায়।”
গোপালগঞ্জে সহিংসতার বিষয়ে গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা ছিল কি না এবং ঘটনায় দায়টা কাকে দেবেন—এক সংবাদকর্মীর এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, “এ বিষয়ে একটি হাই-পাওয়ার কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি নির্ধারণ করবে দায়টা কার।
“আপনারা কিন্তু সব খবর জানেন, শুধু আমার মুখ দিয়ে বের করতে চান। কমিটির প্রতিবেদন আপনারা জানবেন। ওই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
“এখানে ইমিগ্রেশন কী অবস্থায় আছে, কত জনবল লাগবে—সে ব্যাপারে খোঁজ নিতে এসেছি,” বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তার পরিদর্শনের প্রসঙ্গে।