স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন আজম খান

72

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এ বছর ৮ বিশিষ্টজনকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে সরকার।

- Advertisement -

- Advertisement -

এবার মহান মুক্তিযুদ্ধ ও সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য মরণোত্তর পুরস্কার পাচ্ছেন পপগুরু আজম খান।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সরকারের একটি উচ্চপর্যায়ের সূত্র এ তথ্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছে।

অসাধারণ প্রতিভাধর আজম খান ১৯৫০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আজম খান নবম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধে। তিনি ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠীর সঙ্গে গণসংগীতের চর্চা করতেন। বন্ধুদের সঙ্গে এই শিল্পীগোষ্ঠী থেকে সংগীত পরিবেশন করতে থাকেন আজম খান।

ধীরে ধীরে মানুষের প্রশংসা পাওয়ার পর এই শিল্পীগোষ্ঠী ঢাকার বাইরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাওয়া শুরু করে। তাদের সাধারণ মানুষের জীবনের অভাব ও বঞ্চনার কথা তুলে ধরা হতো গানে গানে। প্রতিবাদী গান গাওয়ার জন্য পুলিশের লাঠির বাড়িও খেয়েছেন আজম খান। গণআন্দোলনের সময়গুলোতেও গান করে গেছেন আজম খান। শুধু তাই নয়, তিনি এ ঘরানার গান গেয়ে ‘পপ সম্রাট’ উপাধি পেয়েছিলেন।

আজম খানের গাওয়া অনেক জনপ্রিয় গান এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে। গানগুলোর মধ্যে রয়েছে—‘এত সুন্দর দুনিয়ায়’, ‘অভিমানী’, ‘অনামিকা’, ‘পাপড়ি’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘আসি আসি বলে তুমি আর এলে না’, ‘আমি যারে চাইরে’, ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে’, ‘হাইকোর্টের মাজারে’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘ও চাঁদ সুন্দর’, ‘বাধা দিয়ো না’, ‘ও রে সালেকা ও রে মালেকা’ও ‘জীবনে কিছু পাব না রে’।
পপ গান গেয়ে এদেশের সাধারণ মানুষের মন জয় করেছিলেন আজম খান। দীর্ঘদিন দুরারোগ্য ক্যানসারের সাথে লড়াই করে ২০১১ সালের ৫ জুন মারা যান এই কৃতি।

You might also like