‘উচ্চারণ’ আসছে আবার

0

বাংলা পপ গানের গুরু আজম খানের রেখে যাওয়া ব্যান্ড উচ্চারণ আসছে নতুন রূপে।

- Advertisement -

- Advertisement -

১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু করা গানের দলটির হাল ধরেছেন আজম খানের সঙ্গে এক সময়ে সদস্য হিসেবে থাকা পিয়ারু খান ও দুলাল জোহাসহ আরও কয়েকজন।

অন্যরা হলেন, তুহীন, খোকা, শিফার ও কোসেক।

২০১১ সালে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যাওয়া আজম খানের চতুর্দশ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয় গত ৫ জুন। তবে দুদিন পর কোরবানির ঈদ বলে স্মরণ অনুষ্ঠান হয়েছে এবার ২২ জুন, এর নাম ছিল ‘গুরু রিলোডেড’।

পপ গুরুর দুই ভাতিজা আরমান খান ও আদনান খান সেই আয়োজন করতে গিয়ে এক পর্যায়ে জানতে পারেন, তাদের চাচার হাতে গড়া ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ডটি নতুন করে আনছেন পিয়ারু খানরা।

আজম খানের ভাতিজা আরমান খান দেশকাল নিউজ ডটকমকে বলেন, ‘‘চাচার জন্য অনুষ্ঠানটির আয়োজন করতে গিয়ে জানতে পারি পিয়ারু চাচা, দুলাল চাচাসহ আরও কয়েকজন ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ড নতুনভাবে সাজাচ্ছেন। তখন আমাদের এখানে তাদের আমন্ত্রণ জানাই।’’

পপ গুরুর স্মরণে তারা সেদিন গানও পরিবেশন করেন।

পিয়ারু ও দুলাল জানান, আগস্টের মাঝামাঝি সময় তারা এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন। এখন অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

পপগুরুর গানের কপিরাইট নিয়ে কাজ করছেন এরশাদুল হক টিংকু। তিনি বলেন, ‘‘উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম নতুনভাবে শুরু করার বিষয়ে পরিবারের সদস্যরা সম্মতি দিয়েছেন। আমরা খুব শিগগির এটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেব।”

উচ্চারণের যাত্রা শুরু কবে

মুক্তিযুদ্ধের পরপর ১৯৭২ সালে ‘উচ্চারণ’ব্যান্ডের যাত্রা শুরু। সে বছরই বিটিভিতে প্রচারিত ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ আর ‘চার কলেমা সাক্ষী দেবে’ গান দুটি তাকে জনপ্রিয় করে তোলে।

তবে বিভিন্ন কারণে ব্যান্ডটিতে বেশ কয়েকবার ভাঙন ধরে। তিন বছর পর ১৯৭৫ সালে এসে এর লাইনঅ্যাপ পরিবর্তন হয়। এ ব্যান্ডের দ্বিতীয় যাত্রায় আসেন পিয়ারু ও দুলাল। তারা সে সময় তারা ‘উচ্চারণ’ এ ছিলেন দুই বছরের মতো।

মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ড নিয়েই ছিলেন আজম খান। তবে গত ১৪ বছর ধরে ব্যান্ডটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে থাকে।

পিয়ারু বলেন, ‘‘আমি আর দুলাল যেহেতু ব্যান্ডের সেকেন্ড ধাপে ছিলাম তাই আজম ভাইয়ের গানের মেজাজটা ভালোভাবে বুঝতে পারি। তার মৃত্যুর পর নতুনদের কেউ কেউ মাঝে মধ্যে ব্যান্ডের গান করেছেন, তবে সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে না। তবে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যান্ডটি আবার যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে।“

এক নজরে আজম খান

আজম খানের জন্ম ১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আজিমপুরে, তবে বেড়ে উঠেন কমলাপুরে।

স্কুলে পড়ার সময় পিটিতে সবার সঙ্গে গান গাইতেন। এসব গান মনেও রাখতে পারতেন তিনি।

এক সাক্ষাৎকারে আজম খান বলেছিলেন, ‘‘আমি গান শুনে হুবহু গাইতে পারতাম। অনেকের কাছে এটা বিস্ময়কর ছিল।’’

১৯৬৯ সালের গণ আন্দোলন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণও করেন ছিপছিপে গড়নের আজম খান।

ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে ৬১ বছর বয়সে থেমে যায় তার ভরাট কণ্ঠ।

You might also like