মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মানহানিকর ও অশালীন তথ্য প্রকাশের অভিযোগে গৃহকর্মী পিংকি আক্তারসহ চারটি গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে চিত্রনায়িকা পরীমণি যে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছিলেন, তা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল হওয়ায় এবং নতুন ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে’ সংশ্লিষ্ট অভিযোগের ধারা না থাকায় মামলাটি গ্রহণযোগ্য হয়নি বলে আদালত রায়ে উল্লেখ করেন।
গত ২১ মে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করে নতুনভাবে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ’ জারি করে। পরীমণির মামলাটি সাইবার নিরাপত্তা আইনের ২৮ ও ৩১ ধারায় দায়ের করা হলেও নতুন অধ্যাদেশে ওই ধারাগুলোর অনুপস্থিতির কারণে আদালত মামলাটি খারিজ করেন।
গত ২৩ এপ্রিল ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন পরীমণি। এতে গৃহকর্মী পিংকি আক্তার ছাড়াও অভিযুক্ত ছিলেন—সব খবরের স্বত্বাধিকারী মোরশেদ সুমন, প্রতিদিনের বাংলাদেশ ইন্টারটেইনমেন্ট, পিপল নিউজ ও ডিজিটাল খবর।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৫ মার্চ একটি এজেন্সির মাধ্যমে পরীমণি তার বাসায় বাচ্চার দেখভালের জন্য পিংকি আক্তারকে নিয়োগ দেন। কিন্তু ২ এপ্রিল পিংকি হঠাৎ বাসা ছেড়ে চলে যান এবং পরবর্তীতে পরীমণির বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে মিথ্যা, অশালীন ও মানহানিকর বক্তব্য দিতে থাকেন। অভিযুক্ত গণমাধ্যমগুলো সেই বক্তব্যগুলো প্রচার করে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়।
এসব ঘটনায় পরীমণি সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন বলে মামলায় দাবি করা হয়।