ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির উদ্দেশে একযোগে সমস্ত ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত গাজার স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস।
হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেমের বিবৃতি বরাত দিয়ে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ কথা জাননানো হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়, গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে ওই বিবৃতি প্রকাশ করে হামাস।
হাজেম কাসেম বলেন, আমরা দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য প্রস্তুত, যেখানে বন্দিদের একযোগে বিনিময় করা হবে। স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং উপত্যকা থেকে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার হয়, এমন একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এ পদক্ষেপ।
বিবৃতিতে ইসরায়েলের নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। মুখপাত্র বলেন, গাজা উপত্যকা থেকে হামাসকে অপসারণের দখলদারিত্বের শর্ত একটি হাস্যকর মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ। গাজা থেকে প্রতিরোধ প্রত্যাহার বা নিরস্ত্রীকরণের দাবি অগ্রহণযোগ্য।
গাজা উপত্যকার ভবিষ্যতের জন্য যেকোনো ব্যবস্থা জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। কাসেম পরবর্তী বন্দি বিনিময়ের সময় মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের সংখ্যা তিন থেকে ছয় করার সিদ্ধান্তের কথাও উল্লেখ করেছেন।
এর আগে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, গত শনিবার তিনজন জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। বিনিময়ে ৩৬৯ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেয় ইসরায়েল। তিনজনসহ এ পর্যন্ত মোট ১৯ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ধাপে ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা হামাসের।
গাজায় ১৫ মাসের ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তিন ধাপের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে বন্দি বিনিময়, শান্তি স্থাপন, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের শর্ত রয়েছে।
যুদ্ধবিরতির পরও ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে শতাধিক ফিলিস্তিনি।