ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে হার্ভার্ড ইউনির্ভাসিটির মামলা

18

প্রস্তাবিত কোটি কোটি ডলার তহবিল বন্ধ করায় ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলার পথেই হাটল যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রভাবশালী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বরাদ্দ অর্থ ফিরে পেতে সোমবার দেশটির ফেডারেল আদালতে মামলা দায়ের করেছে ইউনিভার্সিটিটি। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, “এই মামলা এমন এক পরিস্থিতি নিয়ে, যেখানে ফেডারেল সরকার তহবিল বন্ধের মাধ্যমে হার্ভার্ডের একাডেমিক সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে।”
তবে এই মামলার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি হোয়াইট হাউস।
হার্ভার্ডের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট অ্যালান এম. গারবার সোমবার ইউনিভার্সিটির কমিউনিটিকে দেওয়া এক চিঠিতে বলেন, “সরকারের অতিরিক্ত হস্তক্ষেপের ফল হবে ভয়াবহ ও দীর্ঘস্থায়ী।”
তিনি জানান, তহবিল বন্ধ হওয়ায় শিশু ক্যান্সার, আলঝেইমার ও পারকিনসন্স রোগ নিয়ে চলমান গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা ব্যাহত হচ্ছে।
এর আগে গত ১৪ এপ্রিল ইহুদিবিদ্বেষ মোকাবিলার নামে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তৈরি দাবির তালিকা প্রত্যাখ্যান করায় মার্কিন প্রশাসন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির জন্য বরাদ্দকৃত ২২০ কোটি ডলার স্থগিত করে দেয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
ট্রাম্প প্রশাসনের দাবিগুলোর মধ্যে ছিল- ইউনিভার্সিটির প্রশাসন, নিয়োগনীতি ও ভর্তি প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন, যুক্তরাষ্ট্র-বিরোধী মতাদর্শের শিক্ষার্থীদের রিপোর্ট করা, ‘দৃষ্টিভঙ্গির বৈচিত্র্য’ নিশ্চিত করা এবং সরকার অনুমোদিত কোনো সংস্থা দিয়ে হার্ভার্ডের বিভাগ ও প্রোগ্রামগুলো পর্যবেক্ষণ করানো।
বিবিসি বলেছে, হার্ভার্ডের দাবি প্রত্যাখানের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মার্কিন শিক্ষা বিভাগ এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল।
শিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে সে সময় বলা হয়, “শিক্ষাঙ্গনে যেভাবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হচ্ছে, তা বরদাশতযোগ্য নয়। ইহুদি শিক্ষার্থীদের হয়রানি কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। অভিজাত ইউনিভার্সিটিগুলো যদি করদাতাদের অর্থ পেতে চায়, তাহলে তাদের যথাযথ পরিবর্তনের জন্য অঙ্গীকার করতে হবে।”
সেদিনই অ্যালান এম. গারবার কমিউনিটিকে পাঠানো এক চিঠিতে বলেছিলেন,“আমাদের আইনি পরামর্শকের মাধ্যমে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে যে, আমরা তাদের প্রস্তাবিত দাবি গ্রহণ করব না। হার্ভার্ড তার স্বাধীনতা বা সাংবিধানিক অধিকার বিসর্জন দেবে না।”
তিনি আরো বলেছিলেন,“সরকারের কিছু দাবি ইহুদিবিদ্বেষ মোকাবিলার সঙ্গে সম্পর্কিত হলেও, বেশিরভাগই ইউনিভার্সিটির বুদ্ধিবৃত্তিক পরিবেশে সরাসরি হস্তক্ষেপের সামিল।”
এদিকে শুধু আর্থিক চাপই নয়- ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ নিয়েও চাপ তৈরি করছে বলেও জানিয়েছে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ।

- Advertisement -

- Advertisement -

You might also like