পাকিস্তানের তিন বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ভারত ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে খবর দিয়েছে বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, স্থানীয় সময় রাত সোয়া ৩টায় পাকিস্তানের তিনটি বিমান ঘাঁটিতে ভারতীয় হামলার পরপরই পাকিস্তান সিভিল এভিয়েশন অথরিটি দুপুর পর্যন্ত সব ধরনের বিমান চলাচলের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে।
অন্যদিকে ভারতের সিভিল এভিয়েশন অথরিটি দেশটির উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের ৩২টি বিমানবন্দর আগামী ১৫ মে সকাল পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেছেন, যদিও ভারতের বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করেছে পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, তবে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে।
এই হামলাকে ‘কাপুরোষিত’ বর্ণনা করে তিনি বলেছেন, এর জবাব দিতে দিতে সামরিক বাহিনী ‘সম্পূর্ণ প্রস্তুত’।
পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী, আক্রান্ত ঘাঁটিগুলোর মধ্যে একটি হলো রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বিমান ঘাঁটি, যা দেশটির সামরিক সদর দপ্তর। এই ঘাঁটি রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
পরে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ জানায়, ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু হয়েছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখা (আইএসপিআর) জানিয়েছে, পাল্টা এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন বনিয়ান মারসুস’।
বিবিসি লিখেছে, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগরে স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ৬টায় দুটি বড় বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন বাসিন্দারা। এর মিনিট বিশেক পরে আরও তিনটি বিস্ফোরণ ঘটে। শহরে সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
শ্রীনগর বিমানবন্দর এলাকার এক বাসিন্দা বলেছেন, তিনি জেট বিমানের মতো একটা শব্দ শুনেছিলেন, যার পরই বিস্ফোরণের আওয়াজ পেয়েছেন।
প্রথম বিস্ফোরণের সময় বলতে না পারলেও তিনি জানিয়েছেন, জেট বিমান যাওয়ার মাত্র ১৩ সেকেন্ড পরই দ্বিতীয় বিস্ফোরণ ঘটে।
বিমানবন্দরের পাশে থাকা আরেক প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ২০টা মিনিটে বলেছেন, “প্রথমে জেট বিমানের শব্দ শোনা যায়, তারপরই বিস্ফোরণ ঘটে।”
এরপর ধোঁয়া উড়তে দেখেছেন স্থানীয়রা।
পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ভারতের এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে।
ইসলামাবাদের দাবি অনুযাযী, তারা সাইবার আক্রমণ চালিয়ে ভারতের শীর্ষ কিছু ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি দলের ওয়েবসাইটও।
বিবিসি লিখেছে, পাকিস্তানের এই দাবিগুলো তারা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি এবং ভারত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ভারতে বিজেপির ওয়েবসাইট খোলা যাচ্ছে।
‘অপারেশন বুনিয়ানুন মারসুস’ অভিযান পরিচালনাকারী পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর তরফে এখন ‘চোখের বদলে চোখ’, ‘পাকিস্তান জবাব দিল’ এমন সব মন্তব্য আসছে।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দাবি করছে, তাদের পাল্টা আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। একজন মুখপাত্র বলেছেন, ভারত যেসব বিমান ঘাঁটি থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, সেগুলোকে নিশানা করছে ইসলামাবাদ। একটি ফিল্ড সাপ্লাই ডিপো, ব্যাটারি সাইট, বড় কামানের অবস্থান এবং ব্রিগেড সদর দপ্তরে আঘাত হানার দাবি তাদের।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ জাতীয় কমান্ড কর্তৃপক্ষের জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। এ সংস্থাটি পাকিস্তানের পারমাণবিক সম্পদ দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে।
You might also like

সম্পাদক :মোঃ শাহজালাল
২০২৫ © ব্যানারনিউজবিডি কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই সাইটটি বর্তমানে নির্মাণাধীন
২০২৫ © ব্যানারনিউজবিডি কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
You cannot print contents of this website.