ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি ভারত-পাকিস্তান

16

হামলা-পাল্টা উদ্বেগের মধ্যেই ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শনিবার প্রথমে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে জানান তিনি। পরে ভারত ও পাকিস্তান সরকারের বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো।
এক্সে ট্রাম্প লেখেন, “আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, ভারত ও পাকিস্তান অবিলম্বে পুরোপুরি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। শুভবুদ্ধির ব্যবহার করে দুপক্ষ এই সিদ্ধান্তে আসায় তাদের অভিনন্দন।”
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে পাকিস্তানও।
দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ইশাক দার জানিয়েছেন, দেশ দুটি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিতে রাজি। তিনি বলেন, “পাকিস্তান সবসময়ই সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিষয়ে ছাড় দেওয়া ছাড়াই এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা চেয়ে আসছে।“
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনেও ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ভারতের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেন, “আজ বিকেলে পাকিস্তানের সামরিক অপারেশনসের মহাপরিচালক ভারতের তার সমমর্যাদার কর্মকর্তাকে ফোন করেন। সেই আলোচনায় উভয় পক্ষ সম্মত হয় যে, আজ ভারতীয় সময় বিকেল ৫টা থেকে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—সব ক্ষেত্রেই সব ধরনের গোলাগুলি ও সামরিক অভিযান বন্ধ থাকবে।”
দুই দেশই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে।
২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এরপরেই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশি দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের মদদ আছে বলে অভিযোগ তোলে ভারত। তবে পাকিস্তান সেটি নাকচ করে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি তোলে।
পেহেলগাম হামলাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সীমান্তে উত্তেজনা শুরু হয়। সেই উত্তেজনার মধ্যে মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের নয়টি স্থানে হামলা চালায় ভারত। নয়াদিল্লি ওই অভিযানের নাম দেয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। মঙ্গলবার রাতেই ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করে পাকিস্তান।

- Advertisement -

- Advertisement -

You might also like