সংঘাতে ইরানে প্রাণ গেছে ১৪ বিজ্ঞানীসহ ৬ শতাধিক, ইসরায়েলে অন্তত ২৮
সংঘাতে ইরানে প্রাণ গেছে ১৪ বিজ্ঞানীসহ ৬ শতাধিক, ইসরায়েলে অন্তত ২৮
১২ দিনের সংঘাতে ইরানে নিহত হয়েছে ৬ শতাধিক। আহত ৪ হাজার সাত শ’র বেশি। এ সময়ে অন্তত ১৪ বিজ্ঞানীকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। তাদের মধ্যে আছেন রসায়বিদ, পদার্থবিদ ও প্রকৌশলী।
এ ছাড়া ইসরায়েলে অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু এবং কয়েক শ মানুষ আহত হয়েছে। এছাড়া, দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছে অসংখ্য সামরিক-বেসামরিক স্থাপনা। এ অবস্থায় মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। তবে এদিনও যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে হামলার অভিযোগ করেছে ইরান ও ইসরায়েল।
যুদ্ধবিরতির আগে ১২ দিন পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে ইরান ও ইসরায়েল। ১৩ জুন প্রথম তেহরানের পারমাণবিক স্থাপনায় আইডিএফের হামলার পর শুরু হয় রক্তক্ষয়ী সংঘাত।
ইরানে ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের ২ প্রধানসহ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা নিহত হন। মারা যান অন্তত ১০ পরমাণু বিজ্ঞানী। ৬২ নারী-শিশুসহ ৬ শতাধিক মৃত্যু ও সাড়ে ৪ হাজারের বেশি আহতের হিসাব দিয়েছে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এছাড়া, ইরানের নাতাঞ্জ ও ইসফাহান পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলা হয় ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ভবনেও।
অন্যদিকে, ইরানি হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছে দক্ষিণ ইসরায়েলের সরোকো মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। হামলা হয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর স্থাপনা, গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কার্যালয় ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে।
দুই দফা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ইসরায়েলের হাইফা বন্দর। তেল আবিবসহ কয়েকটি ইসরায়েলি শহর থেকে মিলেছে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের তথ্য। ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ জনে। আহত হয় কয়েক শ।
প্রথমে দু পক্ষকে সংযমী হওয়ার আ্হ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে অগোচরে ইসরায়েলকে সমরাস্ত্র দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। পরে ২২ জুন ইরানে সরাসরি হামলা চালায় মার্কিন বোমারু বিমান-বি টু। ইরানের ৩টি পরমাণু স্থাপনা নাতাঞ্জ, ইসফাহান ও ফর্দোতে হামলা করে তারা।
যুদ্ধের ১১ তম দিনে সোমবার কাতার ও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে প্রতিশোধমূলক হামলা চালায় ইরান। এরপর যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিলেও হঠাৎ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইরান ও ইসরায়েল। এতেও বাহবা নিতে দেখা যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
তবে এই যুদ্ধবিরতি কতটা টেকসই হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে অনেকের। কারণ এরই মধ্যে যুদ্ধবিরতি না মানার অভিযোগ করেছে ইরান ও ইসরায়েল।