রাশিয়ার উপকূলে ভয়াবহ ভূমিকম্পের প্রভার পড়েছে এবার জাপানের ওপর। এই ভূমিকম্পের প্রভাবে দেশটির রাজধানী টোকিও উপকূলে সুনামির ঢেউ আঘাত হেনেছে। এই ঘটনার পর দেশটির ২১টি প্রদেশে থেকে ১৯ লাখেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জাপানের সরকার।
জাপানের ফায়ার অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী, হোক্কাইডো, কানাগাওয়া এবং ওয়াকায়ামা প্রদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন অনুসারে, উপকূল জুড়ে সকাল থেকে সুনামি সতর্কতার সাইরেন বাজছে। এরই মধ্যে উত্তরের দ্বীপ হোক্কাইডোতে প্রথম সুনামির ঢেউ আঘাত হেনেছে। সেখানকার বাসিন্দাদের বাড়িগুলোর ছাদে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে।
এদিকে ২০১১ সালের ভয়াবহ সুনামির ধ্বংসযজ্ঞে ক্ষতিগ্রস্ত ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে এরই মধ্যে কর্মীদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে। যদিও সেখানে এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা দেখা যায়নি।
টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি (টেপকো) এর একজন কর্মী জানিয়েছে যে, তারা কর্মীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছেন এবং এখানে এখনো পর্যন্ত কোনো আঘাত বা অস্বাভাবিকতা ঘটেনি।
জাপান মেটিওরোলজিক্যাল এজেন্সির তথ্য মতে, পূর্ব উপকূলে ঢেউয়ের উচ্চতা ৩০ থেকে ৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে। ঢেউগুলো ধীরে ধীরে টোকিও মহানগর এলাকার দিকে এগিয়ে আসছে।
তবে এটি পূর্বাভাসের তুলনায় অনেক কম ছিল। এখনও পরিস্থিতি পরিবর্তিত হতে পারে এবং আরও ঢেউ আসতে পারে।
সুনামির কারণে পরিবহন ব্যবস্থায়ও ব্যাঘাত দেখা দিয়েছে। সেন্ডাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রানওয়েও বন্ধ রাখা হয়েছে। এমনকি হোক্কাইডো, আওমোরি ও টোকিও বে থেকে চলাচলকারী সেবাগুলো ফেরিও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।