‘নৃশংস হত্যা এবং হামলার দায়িত্ব সরকার এড়াতে পারে না’

6

সম্প্রতি ঢাকায় পিটিয়ে হত্যা, খুলনায় গুলি করে ও রগ কেটে হত্যা, চাঁদপুরে মসজিদের মধ্যে খতিবের উপরে নৃশংস হামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
শনিবার, এক যৌথ বিবৃতিতে জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, বাসদ (মার্কসবাদী)-এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী বলেছেন, সারাদেশে এক অরাজকতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে-এর দায় সরকার এড়াতে পারে না।
তারা বলেন, পুরান ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে রাস্তায় পাথর দিয়ে সোহাগের হত্যা, খুলনায় মাহবুবকে বাড়ির সামনে গুলি করে এবং পায়ের রগ কেটে হত্যা এবং চাঁদপুরে মসজিদের খতিবকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করাসহ সারাদেশে হামলা ও হত্যার ঘটনা ঘটছে। পুরান ঢাকা, খুলনা এবং চাঁদপুর শুধু নয়, সারা দেশ আজ আতংকের কবলে। সরকার কঠোর হাতে দমন করার কথা বলছেন, আবার উপদেষ্টাদের অনেকে, প্রেস সচিব এসব ঘটনাকে হালকা করে দেখা, আড়াল করা ও কখনো দায় চাপানর কৌশল নিচ্ছেন। ফলে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ায় সন্ত্রাসের ভয়াবহতা বাড়ছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, একের পর এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড দেখে দেশবাসী আতংকিত। রাজনৈতিক পরিচয়ে দোষীকে আড়াল করা, রাজনৈতিক দলের উপর দায় চাপিয়ে সরকারের দায় এড়িয়ে যাওয়া এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করার ফলে মানুষের নিরাপত্তা বলে কিছু থাকছে না। অন্তর্বর্তীকালিন সরকার এক বছর পরও মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ। এর ফলে গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ও আকাক্সক্ষা আজ ভুলুণ্ঠিত হওয়ার পথে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সাফাই গাওয়া নয় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। জানমাল রক্ষায় দৃশ্যমান ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। একই সাথে সচেতন দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অন্যায় অবিচার রুখে দাঁড়াতে হবে এবং মব সন্ত্রাস প্রতিরোধসহ জান-মালের রক্ষায় এলাকায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

- Advertisement -

- Advertisement -

You might also like