যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় রাজি জেলেনস্কি

১৬

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে আলোচনার টেবিলে বসার আগ্রহ দেখিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কংগ্রেসে দেওয়া ভাষণে এ তথ্য জানিয়েছেন।

- Advertisement -

- Advertisement -

রাশিয়া বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে বলে বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার দাবি করেন, নিজের আগ্রহ প্রকাশ করে চিঠি লিখেছেন ভলোদিমির জেলেনস্কি।
কংগ্রেসে ভাষণ দেওয়ার সময় ট্রাম্প চিঠির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, টেকসই শান্তি নিশ্চিত করতে যত দ্রুত সম্ভব আলোচনায় বসতে প্রস্তুত কিয়েভ। শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে এখন ইউক্রেনীয়রাই সবচেয়ে বেশি আগ্রহী।

রাশিয়ার সঙ্গেও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চলছে দাবি করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, শান্তির জন্য মস্কোও প্রস্তুত, এমন দৃঢ় ইঙ্গিত পেয়েছেন তিনি।

এদিকে, ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া। তবে ক্রেমলিন বুধবার বলেছে, কার সঙ্গে এই আলোচনা হবে মস্কোর কাছে তা এখনও পরিষ্কার নয়।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বিষয়টিকে ‘ইতিবাচক’ উল্লেখ করে বলেছেন, ‘প্রশ্ন হলো কার সঙ্গে বসবেন। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট এখনও রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসার ব্যাপারে আইনত নিষিদ্ধ।’

কংগ্রেসে দেওয়া ভাষণে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘যুদ্ধের এই পাগলামি, হত্যাযজ্ঞ, অর্থহীন সংঘর্ষ বন্ধের এখনই সময়। যুদ্ধ থামাতে চাইলে দুপাশেই আলোচনা করতে হবে।’

আমেরিকার সঙ্গে খনিজ সম্পদ চুক্তি সম্পাদন করতে ইউক্রেন সম্মত হয়েছে বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা খাতে মার্কিন সমর্থন বজায় রাখার জন্য এই চুক্তিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করছে ওয়াশিংটন।

মঙ্গলবার ট্রাম্পের বক্তব্যের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জেলেনস্কি বলেন, হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বাদানুবাদের ঘটনা ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত। তিনি সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান চান। পাশাপাশি তিনি এও জানান, যেকোনো সুবিধাজনক ফরম্যাটে এবং যেকোনো সময় তিনি খনিজ সম্পদ চুক্তি সম্পাদন করতে রাজি আছেন।

ইউক্রেনের জন্য মার্কিন সহায়তা স্থগিত করার পরই জেলেনস্কি এই বক্তব্য দেন। কিয়েভের প্রতি ওয়াশিংটনের নীতিতে আকস্মিক পরিবর্তনে মস্কোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা স্পষ্ট হয়ে পড়ে।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ‘ভয়াবহ বৈঠকের’ অভিজ্ঞতা হয় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির। হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে পূর্বনির্ধারিত বৈঠকে বসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে রীতিমতো ধুয়ে দেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্ভাব্য খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর ছাড়াই বৈঠকটি শেষ হয়। এরপর ইউক্রেনকে অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ট্রাম্প প্রশাসন।