পাটপণ্য ও তাঁতবস্ত্র মেলার উদ্বোধন করলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা

১২

পাটে রপ্তানির ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে উল্লেখ করে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এটি মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়।

- Advertisement -

- Advertisement -

তিনি বলেন, ‘পাটের রফতানি আয়ের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা নিয়ে আসেন। তার জন্য যা প্রয়োজনীয় তার সবই করব। পাঁচ বিলিয়ন না হলেও দুই বিলিয়ন ডলারে যেতে হলে কী করতে হবে, কোথায় বিনিয়োগ করতে হবে আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আমি করব। পাটের হারানো ঐতিহ্য ফেরাতে সবাই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে তেজগাঁওয়ের মনিপুরীপাড়া জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে (জেডিপিসি) ‘জাতীয় পাট দিবস ২০২৫’ উদযাপন উপলক্ষে পাটপণ্য মেলা ও তাঁতবস্ত্র মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এসব কথা বলেন।

পাট অধিদপ্তর আয়োজিত পাটপণ্য মেলা  চলবে ১০ মার্চ পর্যন্ত। এছাড়া ১৫ দিনব্যাপী তাঁতবস্ত্র মেলা চলবে ২৫মার্চ পর্যন্ত।

শেখ বশিরউদ্দীন আরও বলেন, ‘এখানে কৃষকদের বীজ, সার, পাট পচন প্রক্রিয়া  সহজীকরণ , গুণগত মান উন্নয়নে সহায়তায় ৩৫৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নিয়ে

কাজ করছি। তাছাড়া শিল্প সহায়তার বিভিন্ন প্রণোদনামূলক কার্যক্রম করা হয়, যা নীতি সহায়তায় মন্ত্রণালয়ের কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষত, জেপিডিসির মাধ্যমে এক হাজারের অধিক উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। এই উদ্যোক্তাদের সহায়তায় কাজ করছি। এখানে (জেডিপিসিতে) একটি বিক্রয়কেন্দ্র করেছি, পাট পণ্যের সমাহার যথেষ্ট পরিমাণে করার চেষ্টা করা হয়েছে।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি, কোভিডের পরে পাট শিল্পপণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছিল এবং আমরা বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিলাম। কাঁচাপাটের বাজারে অনিয়ন্ত্রিত মূল্য সৃষ্টি হলো, ২০০০ টাকার পাট  ৭০০০ টাকা হলো।  ফলে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা আমাদের কাছ থেকে সরে যেতে শুরু করে এবং এই সরে যাওয়ার ফলে গত দুই-তিন বছর ধরে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন শিল্প উদ্যোক্তারা। এর একটা পরিত্রাণ দরকার।’

অনুষ্ঠানের সভাপতি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে পাটের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কম ঋণ সুবিধাসহ এ খাতে অন্যান্য  সমস্যাগুলোর কথা তুলে ধরেন।

উদ্বোধনের পর উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন মেলাপ্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন। এসময়  আরও উপস্থিত ছিলেন- পাট অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জিন্নাত আরা, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু আহমেদ সিদ্দিকী, রেশম বোর্ড পরিচালক এম এ মান্নান, প্রাক্তন অতিরিক্ত সচিব বিমল চন্দ্র রায়, জুট স্পিনার অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক তাপস প্রামাণিক, বাংলাদেশ জুট মিল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ফরহাদ আহমেদ আকন্দ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আরিফুর রহমান খান, অতিরিক্ত সচিব এএনএম মঈনুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব সুব্রত শিকদার।