রুয়েটে শিক্ষকসহ ৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত

১৫

জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া, আন্দোলন দমনে সংশ্লিষ্টতা এবং কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) আওয়ামীপন্থি শিক্ষক ও কর্মকর্তাসহ ৩ জনকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রুয়েট কর্তৃপক্ষ।

- Advertisement -

- Advertisement -

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ১০৮তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম সরকার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বরখাস্ত শিক্ষক হলেন—রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সিদ্ধার্থ শংকর শাহা। এছাড়াও বরখাস্ত অন্য ২ কর্মকর্তা হলেন- সহকারী প্রকৌশলী ও রুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাঈম রহমান নিবিড় এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ডাটা প্রসেসর ও কর্মচারী সমিতির সাবেক সভাপতি মহিদুল ইসলাম।

অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম সরকার জানান, মূলত ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র আন্দোলনে সরকারি নিপীড়নের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া, নির্যাতন-সহিংসতায় সম্পৃক্ততা, আওয়ামী সরকারের দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখার অভিযোগ আছে এদের বিরুদ্ধে। তবে ৫ আগস্ট পরবর্তী বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। তাদের ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।  তারা আফিস না করলে বা পরবর্তী কোনো সিদ্ধান্ত না এলে ৬ মাস পর তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে।

এছাড়াও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকার কারণের চারজনের  বিরুদ্ধে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এরা হলেন—ডেপুটি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. শাহনেওয়াজ সরকার, সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর তৌহিদুর রহমান, সেকশান অফিসার ডিআরই শাখা মো. রাইসুল ইসলাম রোজ ও শিক্ষা শাখার সাব- অ্যাসিসটেন্ট প্রোগ্রামার একেএম আনোয়ারুল ইসলাম।

এ বিষয়ে  রুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সিন্ডিকেট যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, বরখাস্ত নাইম রহমান নিবিড় ও মহিদুল ইসলাম গত ৪ আগস্ট ধারাল অস্ত্রসহ রুয়েটের প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের হত্যার উদ্দেশ্যে ধাওয়া ও বোমা হামলায় সংশ্লিষ্টতা দৃশ্যমান হয়। পাশপাশি ইতিপূর্বে বরখাস্ত শিক্ষক সিদ্ধার্থ শংকরকে জুলাইবিরোধী অবস্থান, আন্দোলনে আহত ও নিহতদের অবমাননার অভিযোগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত করা হয়েছিল এবং তাকে বরখাস্তের দাবিতে আন্দোলন ও প্রশাসনের কাছে আবেদনপত্র দিয়েছিল শিক্ষার্থীরা।