মস্কোর আকাশে ইউক্রেনের ১৯ ড্রোন ধ্বংস
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে দ্বিতীয় দিনের মতো ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন।
নিরাপত্তার স্বার্থে মস্কোর চারটি বড় বিমানবন্দর কয়েক ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়েছিল বলে রাশিয়ার বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ ‘রোসাভিয়াটসিয়া’ জানিয়েছে। পরে এসব বিমানবন্দর পুনরায় চালু করা হয়।
মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন জানিয়েছেন, শহরের দিকে আসা ইউক্রেনের অন্তত ১৯টি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। ধ্বংসাবশেষ শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে পড়েছে, তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে ইউক্রেন এখনো হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে খারকিভের মেয়র জানিয়েছেন, সেখানেও রাশিয়া ড্রোন হামলা চালিয়েছে। একইসঙ্গে কিয়েভ অঞ্চলেও হামলার খবর পাওয়া গেছে।
রাশিয়ার অন্যান্য শহর-পেনজা ও ভোরোনেজের গভর্নররাও জানিয়েছেন, তাদের শহরেও রাতে ড্রোন হামলা হয়েছে।
রাশিয়ার সামরিক ব্লগারদের দাবি, মস্কোর দক্ষিণে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের জানালাও ভেঙে গেছে। তবে এই তথ্য নিশ্চিত করেনি কর্তৃপক্ষ।
সোমবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, রাতে তারা ইউক্রেনের ২৬টি ড্রোন ধ্বংস করেছে।
কুরস্ক সীমান্তে উত্তেজনা
রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের সীমান্তবর্তী তিয়তকিনো গ্রামে ইউক্রেন ড্রোন কমান্ড ইউনিটে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে কিয়েভ। এ ছাড়া রুশ শহর রিলস্কে একটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রও ইউক্রেনীয় হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দুজন কিশোর আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুরস্ক অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত গভর্নর আলেকজান্ডার খিনস্টেইন।
রুশ সামরিক ব্লগাররা আরও দাবি করেছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী সীমান্তে ট্যাংকবিরোধী ফাঁদ ভেঙে কুরস্কে প্রবেশের চেষ্টা করেছে। তারা স্পেশাল যান ব্যবহার করে মাইনফিল্ড পার হয়ে রুশ ভূখণ্ডে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় রাতেই সেতু উড়িয়ে দিয়ে সকালে সাঁজোয়া যান নিয়ে হামলা শুরু হয় বলে জানান এক ব্লগার।
ইউক্রেনীয় বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘কুরস্ক অভিযানের নয় মাস পর এখনো রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে আমাদের সেনাবাহিনীর উপস্থিতি রয়েছে।’
এদিকে সীমান্তের ওপারে ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলে দুটি বসতি থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।