সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, ২০২৫’ গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নতুন নীতিমালায় ভোটকেন্দ্র স্থাপনে আগের মতো ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসির সমন্বয়ে কোনো কমিটি থাকছে না।
এর পরিবর্তে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইসির কর্মকর্তাদের ওপর। বাদ দেওয়া হয়েছে ইভিএম ব্যবহারের ব্যবস্থাও।
সোমবার নীতিমালাটি প্রকাশ করে ইসি।
গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে, মহানগর, জেলা, উপজেলা ও থানা পর্যায়ের প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে আগের মতো কোনো ভোটকেন্দ্র স্থাপন কমিটি থাকছে না। নির্বাচন কর্মকর্তারা ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব থাকবে। একইসঙ্গে, এবার ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা না থাকায় ইভিএম সম্পর্কিত কক্ষ নির্ধারণের বিষয়টিও বাদ দেওয়া হয়েছে।
২০২৩ সালের ভোটকেন্দ্র নীতিমালায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) সমন্বয়ে একটি জেলা কমিটি গঠন করে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ ও পুনর্বিন্যাসের কাজ করা হতো। তবে ওই প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষতা এবং রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছিল।
এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, গত ২১ মে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নতুন ভোটকেন্দ্র নীতিমালা অনুমোদন করে। সভা শেষে তিনি বলেন, “ভোটকেন্দ্র স্থাপনে পূর্বের কমিটি বাতিল করে বিষয়টি সরাসরি কমিশনের আওতায় আনা হয়েছে। যেহেতু এবার ইভিএম থাকবে না, তাই সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোও বাদ দেওয়া হয়েছে।”
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতি তিন হাজার ভোটারের জন্য একটি ভোটকেন্দ্র এবং গড়ে ৫০০ জন পুরুষ ও ৪০০ জন নারী ভোটারের জন্য একটি করে ভোটকক্ষ নির্ধারণ করা হবে।
গত বছরের ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪২ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্র ও প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার ভোটকক্ষ ছিল। এবার সাড়ে ১২ কোটি ভোটারের জন্য আরও বেশি ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষ প্রয়োজন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভোটকেন্দ্র নিয়ে যেকোনো দাবি ও আপত্তির নিষ্পত্তি শেষে ভোটের অন্তত ২৫ দিন আগে দেশের সব ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ করা হবে।