সব চেষ্টা করেছিলেন পাইলট: আইএসপিআর

2

বিমান বাহিনীর বিধ্বস্ত (এফটি-৭ বিজিআই) উড়োজাহাজটির লোকালয়ে যাতে বিধ্বস্ত না হয় তার সব রকমের চেষ্টা করেছিলেন পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম।

- Advertisement -

- Advertisement -

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সোমবার দুপুর ১ টা ৬ মিনিটে ঢাকার কুর্মিটোলার বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের পর যান্ত্রিক ত্রুটির মুখে পড়ে। কী ধরনের ত্রুটি সে বিষয়ে তদন্তের পর জানানো হবে বলে আইএসপিআর বলেছে।

দুর্ঘটনা মোকাবিলা এবং বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বৈমানিক তৌকির ইসলাম উড়োজাহাজটিকে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন।

আইএসপিআর বলছে, “কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিমানটি ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল এবং কলেজ এর দোতালা একটি ভবনে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়েছে।”

এই দুর্ঘটনায় বৈমানিকসহ ১৯ জন নিহত এবং ১৬৪ জন আহত হয়েছেন। আহত সকলকে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারসহ অ্যাম্বুলেন্সের সহায়তায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) এবং কাছের হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য দ্রুত স্থানান্তর করা হচ্ছে।

আইএসপিআর জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে এরইমধ্যে বিমান বাহিনীর একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল ঘটনাস্থালে সাংবাদিকদের বলেন, তাদের কর্মীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে ১৯ জনের লাশ উদ্ধার করেছে।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানিয়েছেন, অর্ধশতাধিক দগ্ধ ও আহতকে তার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। দগ্ধদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

 

You might also like