রাজপথে বিক্ষোভ করছেন সশস্ত্র বাহিনীর চাকরিচ্যুত একদল ব্যক্তি

দাবি-দাওয়া শুনেছেন একজন সেনা কর্মকর্তা

28

চাকরি ফিরে পাওয়াসহ চার দফা দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করছেন বিভিন্ন সময় সশস্ত্র বাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত হওয়া একদল ব্যক্তি।  রোববার সকাল থেকে দিনভর জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় বিক্ষোভ করছেন তাঁরা।

- Advertisement -

- Advertisement -

আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে বিকেলে প্রেসক্লাবে আসেন সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তাঁরা আন্দোলনরত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে বেরোনোর সময় তাঁদের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা। এতে প্রেসক্লাব থেকে বের হতে পারছেন না সেনা কর্মকর্তারা।

আন্দোলনকারীরা জানান, ‘বাংলাদেশ সহযোদ্ধা প্ল্যাটফর্ম’ ব্যানারে আজ সকাল সাতটার পর থেকেই তাঁরা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন। বেলা ১১টার দিকে প্রেসক্লাব এলাকা থেকে জাহাঙ্গীর গেটের দিকে যাওয়ার জন্য রওনা দেন। তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বাধা দেওয়ায় এগোতে পারেননি।

বেলা দুইটার দিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আসেন সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিনুর রহমান। তিনি আন্দোলনরত ব্যক্তিদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রেসক্লাবের ভেতরে আলোচনা করেন। পরে বিকেল সোয়া চারটার দিকে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা তাদের দাবিদাওয়াগুলো শুনেছি। আমরা সব দাবিদাওয়া নোট করেছি। এগুলো নিয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সেনা কর্মকর্তা আমিনুর রহমান বলেন, ‘তাদেরকে বলেছি, সবাইকে আলাদা আলাদা করে আবেদন করতে। আবেদনের ঠিকানা আমরা দিয়ে গেছি। ইনডিভিজ্যুয়াল কেসের মেরিট (প্রতিটি ঘটনার পরিস্থিতি) অনুযায়ী আমরা বসব, আলাপ-আলোচনা করে আপনাদের যত দ্রুত সম্ভব যতখানি দেওয়া সম্ভব আমরা অ্যাড্রেস করব। এটাও বলেছি যে সেনাবাহিনীর যে আইনশৃঙ্খলা, এটা অবশ্যই মেইনটেইন (বজায় রাখা) করতে হবে। আমরা মানবিকভাবে যতটুকু সাহায্য করার করব।’

তাঁরা কি আপনাদের কথা মেনে নিয়েছেন— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিনুর রহমান বলেন, ‘হ্যাঁ, তাঁরা মেনেছেন। তাঁরা অপেক্ষা করবেন। আমাদের কার্যক্রম আস্তে আস্তে চলবে।’

গতকাল তাঁদের একজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘ওটা একটা আইনগত বিষয়। মামলার বিষয় এবং তাঁকে আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু সহায়তা করা যায় আমরা করব।’ আট শর মতো আবেদন জমা পড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যার মধ্যে এক শর বেশি আমরা অ্যাড্রেস করেছি।’

 

You might also like