সাম্য হত্যায় মাদক চক্র জড়িত: ডিএমপি কমিশনার

0

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকার মাদক চক্র জড়িত বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

- Advertisement -

- Advertisement -

মঙ্গলবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।

তিনি জানান, সাম্য হত্যায় জড়িত গ্রেপ্তার ১১ জনের মধ্যে মূল হোতা মেহেদী। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের তিনটি মাদক চক্রে একটির নিয়ন্ত্রণ ছিল মেহেদীর কাছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, “সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে মাদক ব্যবসায়ীরা তিনটি জোনে ভাগ করেছে। এর মধ্যে একটি নিয়ন্ত্রণ করত মেহেদী। ঘটনার রাতেই সংশ্লিষ্ট তিনজনকে আমরা গ্রেপ্তার করি। পরে দেশের বিভিন্ন স্তান থেকে আরও আটজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা শাখা ( ডিবি)।”

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- কবুতর রাব্বি, মেহেদী, পাপেল, রিপন, সোহাগ, রবিন, হৃদয়, সুজন সরকার।

কমিশনার জানান মেহেদীর দেওয়া তথ্যে পুলিশ তিন নেতার মাজারের পাশ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করে।

গত ১৩ মে রাত ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর দিয়ে মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় ছুরিকাঘাতে আহত হন ছাত্রদল নেতা সাম্য। রাত ১২টার দিকে বন্ধুরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পরদিন, ১৪ মে সকালে নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সাম্য ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন এবং এফ রহমান হল শাখার সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান এ কে এম আওলাদ হোসেন বলেন, “সেদিন মূলত রমনা কালী মন্দিরের গেটে মাদক চক্রের নেতা মেহেদী, রাব্বিসহ অন্যদের কাছে  টেজার গান (বৈদ্যুতিক বন্দুক) দিচ্ছিল। এ সময় সাম্য ও তার বন্ধুরা কৌতূহলবশত এগিয়ে জানতে চায় এগুলো কী? পরে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সাম্য ও তার বন্ধুদের সঙ্গে হাতাহাতি এবং ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় সাম্যের উপর ছুরি দিয়ে আঘাত করে কবুতর রাব্বি।”

তিনি আরও বলেন, “রাব্বি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এসব স্বীকার করেছে।”

ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত আলী বলেন, “সাম্য হত্যার ঘটনা যেদিন ঘটে ওই রাতে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের ফোন পেয়ে দ্রুত রমনা জোনের ডিসিকে ফোন করি যেন দ্রুত আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তা ফলে তাৎক্ষণিকভাবে চারজনকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করি।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, “পৃথিবীর যেখানে মাদকসেবীরা থাকে সেখানে অস্ত্রও থাকে। আমেরিকাসহ পৃথিবীর বহু দেশের উদাহরণ দিতে পারি। এখানে প্রচুর টাকা থাকে। অল্পদিনে মাদক ব্যবসায়ীরা প্রচুর টাকার মালিক হয়ে উঠে। তাই আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে মাদক মুক্ত করার চেষ্টা করছি।”

আরেক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, “সম্প্রতি রাজধানীতে ছিনতাই ও হত্যার মতো ঘটনা ঘটছে। আমরা এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।”

তারপরও রাজধানীতে ছিনতাই-খুন রোধ করা যাচ্ছে না কেন- জানতে চা্ইলে ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত আলী ‘আর প্রশ্ন নেবেন না’ বলে উঠে চলে যান।