ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকায় মধ্যপ্রাচ্যের সরবরাহ ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ কমেছে, যার ফলে এ সপ্তাহে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমেছে। তবে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে গ্রীষ্মকালীন চাহিদা বাড়ায় তেলের দাম কিছুটা বেড়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার আন্তর্জাতিক বাজারে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম প্রতি ব্যারেলে ৩৪ সেন্ট বা ০.৫% বেড়ে ৬৮.০৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের দাম ৩৩ সেন্ট বা ০.৫১% বেড়ে প্রতি ব্যারেল ৬৫.৫৭ ডলারে পৌঁছেছে।
মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিরতির খবরে মঙ্গলবার তেলের দাম এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছিল। এতে ওই অঞ্চল থেকে তেল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়, যা দাম কমার পেছনে মূল ভূমিকা রাখে।
তবে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশটিতে অপরিশোধিত তেল ও জ্বালানির মজুদ কমেছে এবং শোধনাগারের কার্যক্রম ও চাহিদা বেড়েছে। মূলত গ্রীষ্মকালে গাড়ির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এই চাহিদা তৈরি হয়েছে।
প্রাইস ফিউচার্স গ্রুপের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক ফিল ফ্লিন বলেন, “বাজার এটা বুঝতে শুরু করেছে যে অপরিশোধিত তেলের মজুদ হঠাৎ করেই বেশ কমে এসেছে।”
এদিকে, ডলারের দরপতনও তেলের দামকে সমর্থন জুগিয়েছে। ডলারের মান কমলে অন্যান্য মুদ্রার ক্রেতাদের জন্য তেল কেনা সস্তা হয়ে যায়, যা চাহিদা বাড়াতে সাহায্য করে।
ডলারের সূচক বৃহস্পতিবার তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প খুব শিগগিরই ফেডারেল রিজার্ভের নতুন প্রধান নিয়োগ দেবেন—বাজারে এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ার পর সুদের হার কমার আশঙ্কায় ডলারের মান পড়ে যায়।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার এক বক্তব্যে বলেন, “ইরানের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের ফলাফল আমাদের সামনে শান্তির একটি নতুন সুযোগ তৈরি করেছে, যা হাতছাড়া করা উচিত নয়।” তার এ মন্তব্যের পর জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বড় কোনো ঝুঁকি না থাকায় বিশ্ববাজার কিছুটা স্বস্তি ফিরে পায়।