ফেনীতে নতুন করে ২০ গ্রাম প্লাবিত

2

ফেনীতে টানা বৃষ্টি ও ভারতের পাহাড়ি ঢলের কারণে নতুন করে ছাগলনাইয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় এসব নদীর তীরবর্তী বাঁধ ভেঙে গেছে।

- Advertisement -

- Advertisement -

বুধবার রাতে নতুন করে ভাটির ফুলগাজীর মুন্সির হাট ও আনন্দপুর ইউনিয়নের ছাগলনাইয়া ও ফেনী সদর উপজেলার বাঁধের ৬টি স্থানে ভেঙে নতুন করে আরও ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার ২১টি স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে গেছে। এর মধ্যে মুহুরী নদীর ১১টি, কহুয়া নদীর ৬টি ও সিলোনিয়া নদীর ৪টি জায়গায় ভাঙনের ফলে ৩০ টি গ্রাম পানির নিচে চলে গেছে।

নদীর পানি কিছুটা কমলেও ভাঙা বাঁধ দিয়ে এখনও প্রবল স্রোতে পানি ঢুকছে। এতে ছাগলনাইয়া উপজেলার অবস্থাও আরও খারাপ হয়েছে।

জেলা প্রশাসন জানায়, পরশুরাম, ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া ও ফেনী সদরের বিভিন্ন অংশে ৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৮২৬ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। দুর্গতদের সহায়তায় ৯০ জন স্বেচ্ছাসেবক মাঠে কাজ করছে।

ছাগলনাইয়ার মহামায়া ইউনিয়নের উত্তর সতর গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানান, নদীর পাশের সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় প্রতি বছর বর্ষায় পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে।

পাঠাননগর এলাকার মোহাম্মদ সুজন বলেন, বাঁধ ভেঙে ছাগলনাইয়ার বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে এবং পানির চাপ বাড়ছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ফেনীতে তিন দিন ধরে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তার হোসেন বলেন, “নদীর পানি এখন বিপদসীমার নিচে প্রবাহিত হলেও ভাঙা জায়গা দিয়ে নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পানি কমলে বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হবে।”

ছাগলনাইয়া ইউএনও সুবল চাকমা বলেন, “আমরা মাঠে থেকেই দুর্গতদের সহায়তা দিচ্ছি। ছাগলনাইয়ায় ৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।”

ফেনীর জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, জেলায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ বন্যার কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন। ত্রাণ কার্যক্রমে ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি নজরে রাখা হচ্ছে।

You might also like