গোপালগঞ্জে কারফিউ ঘোষণা

0

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা, সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের জেরে গোপালগঞ্জে কারফিউ ঘোষণা করেছে সরকার।

- Advertisement -

- Advertisement -

বুধবার রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৬টা পর্যন্ত কারফিউ ঘোষণার কথা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে।

এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশকে ঘিরে বুধাবর সকাল থেকে দফায় দফায় হামলা, সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও গুলির শব্দে গোটা গোপালগঞ্জ শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

হাতবোমা, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপের বিকট শব্দ আর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে আতঙ্কে শহরের অধিকাংশ এলাকায় দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। মানুষের চলাচলও সীমিত হয়ে পড়েছে।

এই অবস্থায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, সেনাবাহিনীর পাশাপাশি চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার থেকেই এনসিপির এই পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে উত্তেজনা চলছিল।

বুধবার সকালে এনসিপি নেতারা গাড়িবহর নিয়ে শহরে ঢোকার আগেই পুলিশের গাড়িতে হামলা ও আগুন দেওয়া হয়। পরে ইউএনওর গাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে।

বুধবার বেলা দেড়টার দিকে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিল করে এসে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায়।

সকাল থেকে দফায় দফায় হামলা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে এনসিপি নেতারা শহরের পৌর পার্ক এলাকায় সমাবেশ করেন। সেখান থেকে পুলিশ ও সেনা প্রহরায় গাড়ি বহর নিয়ে বেরিয়ে কিছু পথ যাওয়ার পর পরই শত শত জনতা সেখানে হামলা চালায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

এরপরই পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এনসিপি নেতাদের গাড়িবহর ঘুরিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যান। তারা সেখানেই অবস্থান করছিলেন।

ঘটনাস্থলে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, গোটা এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় চত্বরে এনসিপি নেতাদের সাঁজোয়া যানে ওঠার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে।

এক মিনিট পাঁচ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি সাঁজোয়া যানের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসেন এনসিপি নেতা সারজিস আলম। তিনি বেরিয়ে এসে হাসনাত আবদুল্লাহকে নিয়ে আবার সাঁজোয়া ঢোকেন। তারপর সেখানে এনসিপি নেতা আখতার হোসেন আসেন। কিন্তু তাকে সেই গাড়িতে না তুলে পাশের একটি গাড়িতে তোলা হয়।

আরেকটি ভিডিওতে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকেও একই ধরনের সাঁজোয়া যানে উঠতে দেখা গেছে।

এদিকে গোপালগঞ্জে সহিংসতার ঘটনায় সরকার কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এই বর্বর হামলার পেছনে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সদস্যরা জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে—এমন অপরাধ কোনোভাবেই ক্ষমার যোগ্য নয়। দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে। বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের প্রতি এমন সহিংসতার কোনো স্থান নেই।

You might also like