গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ কেন্দ্র করে সংঘর্ষের জেরে কোটালীপাড়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গণগ্রেপ্তার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতারা।
আজ রোববার উপজেলার ঘাঘর বাজারের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
স্থানীয় বিএনপির অভিযোগ প্রসঙ্গে কোটালীপাড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা কোনো গণগ্রেপ্তার করছি না। ঘটনার সঙ্গে জড়িত যাঁরা আছেন, তাঁদেরকেই আমরা গ্রেপ্তার করছি। ওই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৩০ জনকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখানে গণগ্রেপ্তার কীভাবে হলো?’
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম মহিউদ্দিন বলেন, গত বুধবার উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা কোটালীপাড়া-পয়সারহাট সড়ক বন্ধ করে উপজেলার ওয়াবদার হাটে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। তাঁরা সড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছ কেটে সাধারণ মানুষের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করেন। এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানার পুলিশ ১৫৫ জনের নাম উল্লেখ ও ১ হাজার ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা করেছে। এ মামলায় উপজেলার সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তারের নামে হয়রানি করা হচ্ছে। এর তীব্র প্রতিবাদ জানান মহিউদ্দিন।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বশার হাওলাদার বলেন, ‘আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, এই মামলায় অধিকাংশ আসামি সাধারণ মানুষ। বেশির ভাগই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। তাহলে কীভাবে, কাদের মদদে এই নিরীহ মানুষদের আসামি করা হলো?’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্দেশে কোটালীপাড়া পৌরসভার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওলিউর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘বিক্ষোভের সময় সেখানে আপনারা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তখন একজনকেও আপনারা আটক করতে পারেননি। আপনাদের কাছে তো ফুটেজ আছে। আপনারা এই ফুটেজ দেখে আসামি গ্রেপ্তার করতে পারতেন। কিন্তু আপনার তা না করে নিরীহ মানুষদের গ্রেপ্তার করছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ওলিউর আরও বলেন, ‘আমরা মানুষের জন্য রাজনীতি করি। আপনারা যদি সেই মানুষদের হয়রানি করেন, তাহলে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এর প্রতিরোধ করব।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সভাপতি ইউছুপ আলী দাড়িয়া, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শেখ ফায়েকুজ্জামান, রফিকুল ইসলাম হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক ছলেমান শেখ, যুবদলের সদস্যসচিব মান্নান শেখ, ছাত্রদলের আহ্বায়ক লালন শেখ প্রমুখ।