বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার পর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসসহ পাঁচটি ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করেছিল কর্তৃপক্ষ। রোববার দিয়াবাড়ীর ক্যাম্পাস বাদে বাকি চারটির ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও খুলছে না কোনো ক্যাম্পাস।
আগুন লাগা ভবন থেকে উদ্ধার হওয়া অক্ষত শিক্ষার্থী ছাড়াও দুর্ঘটনাস্থলের বাইরে থাকা শিক্ষার্থীরাও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। ট্রমার মধ্যে রয়েছে সবাই।
ঘটনার পর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মাইলস্টোনের সব ক্যাম্পাসে ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সে হিসেবে শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটি থাকায় রোববার থেকে খোলার কথা ছিল। কিন্তু শনিবার বিকেলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সোমবার পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়। মঙ্গলবার ক্লাস চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলম বলেন, মানসিক অবস্থা বোঝার জন্য আমরা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। সেটির ভিত্তিতেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব, কবে তাদের দিয়াবাড়ী ক্যাম্পাসে আনা যেতে পারে।
কাউন্সেলিংয়ের সঙ্গে যুক্ত এমন একজন নাম প্রকাশ না করে শনিবার জানিয়েছেন, কাউন্সেলিংয়ে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলছে, তারা ভয় পাচ্ছে। বারবার বিমান বিধ্বস্ত, অগ্নিকাণ্ড এবং হতাহতের কথা মনে ভেসে উঠছে। পড়ার টেবিলে বসতে পারছে না।
সমকালের সৌজন্যে