দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শেরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার

৩০

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে শেরপুর সদরের কামারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফর রহমানকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

- Advertisement -

- Advertisement -

শনিবার (১ মার্চ) সকালে শেরপুর সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. হজরত আলী ও সদস্যসচিব মো. ফরহাদ আলীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কামারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফর রহমানকে দলীয় পদসহ প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার কোনো অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নেবে না।

এর আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি শেরপুরে আধিপত্য বিস্তার ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ষড়যন্ত্র ও হামলার ঘটনায় সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও শেরপুর সরকারি কলেজের সাবেক এজিএস জাকারিয়া বাদলকে (৪৭) কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে কামারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফর রহমান ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সোহাগ ও রাহুল নামের বিএনপির দুই কর্মী আহত হন। ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জানা যায়, জাকারিয়া বাদল দীর্ঘ ১৬ বছর নির্যাতিত ছিলেন। তিনি বহুবার কারাবরণ করেছেন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করে আসছিলেন। এ কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তাকে টার্গেট করে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। এতে ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফর রহমান তাদের সাথে হাত মিলিয়ে বিএনপির ত্যাগী নেতা বাদলকে হত্যার টার্গেট করে।

এরই জেরে ২৫ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) বিকেলে জাকারিয়া বাদলসহ তিনজন মোটরসাইকেলে ভীমগঞ্জ বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় তাদের ওপর হামলা চালায় লুৎফরের অনুসারীরা। এসময় বাদলসহ ৩ জনকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায় তারা।

পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শেরপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে বাদল ও সোহাগের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। রাতে অবস্থা আরও খারাপের দিকে গেলে সংকটাপন্ন অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বাদলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসক। পরে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পথে উত্তরা এলাকায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর থেকে লুৎফর রহমান ও তার অনুসারীরা পলাতক রয়েছেন।