দুর্ঘটনায় উড়ে গেল বাসের ছাদ, তারপরও থামলেন না চালক

25

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পরপর দুটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর উড়ে গেছে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া বরিশাল এক্সপ্রেস নামে একটি বাসের ছাদ। ভয়াবহ দুর্ঘটনার পরও গাড়ি থামাননি চালক। যাত্রীদের অনুরোধের পরও ছাদ ছাড়াই চালাতে থাকেন বাস। প্রায় ১০ কিলোমিটার যাওয়ার পর যাত্রীদের ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার শুনে জনতা গতি থামালে বাসটি রেখে পালিয়ে যান চালক ও তার সহকারী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় হাইওয়ে পুলিশ ও শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ভয়াবহ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে। দুর্ঘটনায় বাসটির ২০ যাত্রী আহত হয়। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বাসটির কয়েকজন যাত্রী জানান, ঢাকা থেকে বরিশাল যাচ্ছিল বরিশাল এক্সপ্রেস লিমিটেডের একটি বাস। শুরু থেকেই চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগরের কামারখোলা এলাকায় পৌঁছার পর একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে বাসটির ধাক্কা লাগে। এতে বাসটির সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তখন চালক বাসটি না থামিয়ে আরও বেপরোয়া গতিতে চালাতে থাকেন। সমষপুর এলাকায় পৌঁছার পর আবারও দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বাসটি। সেখানে একটি প্রাইভেটকারকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে বাসটির ছাদ বিচ্ছিন্ন হয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। যাত্রীরা বারবার চালককে গাড়ি থামানোর অনুরোধ করলেও পাত্তা না দিয়ে গাড়ি চালাতে থাকেন চালক। এ সময় আতঙ্কিত যাত্রীরা চিৎকার করতে থাকেন।
যাত্রীরা আরও বলেন, দুর্ঘটনার পর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে হাইওয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়ি দেখতে পেয়েও চালক বাস না থামিয়ে কুমারভোগের আঞ্চলিক সড়কে ঢুকে পড়েন। সেখানে তাদের ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার শুনে বাসটি আটক করে স্থানীয় জনতা।
পদ্মা সেতু উত্তর থানার ওসি মো. জাকির হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় থানা, হাইওয়ে পুলিশ ও শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর মধ্যে শাহিন নামে এক যাত্রীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর বাসটির চালক ও তার সহকারী পালিয়ে যাওয়ায় তাদের ধরা সম্ভব হয়নি। দুজনকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি জাকির হোসেন।

- Advertisement -

- Advertisement -

You might also like