ছাগল বিক্রিতে নাটোরের সান্টুর ‘ডিজিটাল বিপ্লব’

2

ডিজিটাল প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ছাগল বিক্রিতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বুড়িরভাগ এলাকার যুবক সান্টু ইসলাম।

- Advertisement -

- Advertisement -

হাটবাজারে না গিয়েও ফেসবুক, ইউটিউব, মেসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তিনি নিজ খামার থেকেই ছাগল বিক্রি করছেন।

করোনা মহামারির সময় চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েন সান্টু। সেই সংকটকালে ঘুরে দাঁড়ানোর উপায় খুঁজতে গিয়ে ছাগল পালনে মন দেন তিনি।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিজের খামারকে রূপ দেন ডিজিটাল ব্যবসায়। বর্তমানে তার খামারে রয়েছে রামছাগল, বিটল, তোতাপুরি, হরিয়ানসহ বিভিন্ন জাতের ছাগল।

ছাগলগুলোর যত্নে তিনি ব্যবহার করছেন প্রাকৃতিক খাদ্য-সবুজ ঘাস, ছোলা, গমের ভূষি ইত্যাদি।

সান্টু প্রতিদিন নিজের খামারের ছাগলের ভিডিও ও তথ্য ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেন। অনলাইনে আগ্রহী ক্রেতারা হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার বা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেন।

চাহিদা অনুযায়ী নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে দেন ছাগল। অর্থ লেনদেন হয় বিকাশ, নগদ কিংবা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে।

ঈদকে সামনে রেখে বর্তমানে সান্টুর খামারে ব্যস্ততা বেড়েছে। প্রতিদিনই তিনি পাচ্ছেন অর্ডার। এতে যেমন তার বিক্রি বেড়েছে, তেমনি সৃষ্টি হয়েছে একজন সহকারী কর্মীর কর্মসংস্থানও।

সান্টুর পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, এক সময় বেকার থাকা সান্টু এখন এলাকার তরুণদের কাছে অনুপ্রেরণার নাম। তার এই সাফল্য দেখে অনেকেই খামার গড়ার স্বপ্ন দেখছেন।

নলডাঙ্গা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পবিত্র কুমার বলেন, “সান্টুর খামারে বর্তমানে ২০টিরও বেশি ছাগল রয়েছে। আমরা তাকে নিয়মিত টেকনিক্যাল সহায়তা এবং বিনামূল্যে পিপিআরসহ প্রয়োজনীয় টিকা সরবরাহ করে থাকি।”

তিনি আরও বলেন, “সান্টুর মতো উদ্যোক্তা যুবকদের দেখে অন্যরাও খামারের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে সফল হওয়া সম্ভব-সান্টু সেটার উদাহরণ।”