ভেসে যাচ্ছে সেন্টমার্টিন, দুর্ভোগে দ্বীপের হাজারো মানুষ

0

অমাবস্যার জোয়ার ও সাগরে লঘুচাপের প্রভাবে সেন্টমার্টিন দ্বীপে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ দুর্যোগ। টানা চার দিনের বৈরী আবহাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে শতাধিক ঘরবাড়ি, তলিয়ে গেছে অন্তত ২০টি বসতবাড়ি ও হোটেল-রিসোর্ট। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দ্বীপের ১২ হাজারের বেশি মানুষ।

- Advertisement -

- Advertisement -

স্থানীয়রা জানায়, সাগরের জলোচ্ছ্বাসে দ্বীপের সুরক্ষা বাঁধ ভেঙে পড়ছে। বহু ঘরবাড়ি ও গাছপালা পানিতে ভেসে গেছে। প্যারাডাইজ নামে তিনতলা একটি রিসোর্ট পুরোপুরি পানিতে তলিয়ে গেছে।

ইউপি সদস্য ছৈয়দ আলম বলেন, “ঢেউয়ের আঘাতে বাঁধের চারপাশে ভাঙন ধরেছে। বিভিন্ন অংশ দিয়ে সমুদ্রের লবণাক্ত পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। জরুরি ভিত্তিতে কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে সেন্টমার্টিন দ্বীপ বিলীনের আশঙ্কা রয়েছে।”

২৪ থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত ট্রলার চলাচল বন্ধ ছিল। ২৮ জুলাই সীমিত আকারে একটি ট্রলার চালু করা হয়, তবে তাও ঝুঁকি নিয়ে। ফলে দ্বীপে খাদ্য ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সংকট দেখা দিয়েছে।

বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান জানান, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে দ্বীপের বাসিন্দাদের খাদ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সংকটে ভুগতে হয় । এখন নৌযান বন্ধ থাকায় বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। এভাবে বৈরী আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে চরম কষ্ট ও দুর্ভোগে পড়বে দ্বীপের ১২ হাজার মানুষ।

ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ফয়েজুল ইসলাম বলেন, “অমাবস্যার জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় অন্তত ১৫-২০টি ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। জোয়ারের পানিতে শতাধিক ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতির শিকার হয়েছে ১১ টি হোটেল রিসোর্ট। এতে দ্বীপবাসীর ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। অন্যদিকে নৌযান চলাচলে বাঁধা থাকায় সেন্টমার্টিন বাজারে সরবরাহকৃত নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর সংকট দেখা দিয়েছে। এভাবে বৈরী আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে চরম খাদ্য সংকটে ভুগবে দ্বীপের বাসিন্দারা।”

পরিবেশবাদীরা বলছেন, ক্ষতিগ্রস্ত অধিকাংশ হোটেল অবৈধভাবে নির্মিত এবং বালিয়াড়ি দখল করে তৈরি করা হয়েছিল।

টেকনাফ ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, “সেন্টমার্টিনে জোয়ারের পানির আঘাতে বেশ কিছু হোটেল এবং বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শুনেছি। বিষয়টি আমরা দেখছি, এব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

You might also like