বিশেষ কম্বিং অপারেশনে বাংলাদেশ নৌবাহিনী যুদ্ধজাহাজ ‘আখতার উদ্দিন’
দেশের মৎস্য সম্পদ ও জীব-বৈচিত্র্যের সুরক্ষায় ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’র আওতায় বিশেষ কম্বিং অপারেশন পরিচালনা করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে সরকারের জারি করা বিশেষ কম্বিং অপারেশন ৪টি ধাপে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
এ অভিযানে উপকূলীয় জলাশয় ও নদী অববাহিকায় ১০ মিটারের কম গভীরতায় মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী সব অবৈধ জাল অপসারণ করা হবে।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশেষ কম্বিং অপারেশনের তৃতীয় ধাপ শুরু হয়েছে। এটি আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিশেষ কম্বিং অপারেশনে খুলনা নৌ অঞ্চলের বরিশাল জেলা ও তৎসংলগ্ন এলাকা, চরমোনাই, কালাইর মোহনা, মেহেন্দীগঞ্জ, লাহারহাট, ইলিশা, উলানিয়া বাজার, বাগুরজা, লেগুনিয়া, কালিগঞ্জ, মেঘনা নদীতে বিশেষ কম্বিং অপারেশন কার্যক্রম চালানো হয়েছে নৌবাহিনীর জাহাজ বানৌজা আখতার উদ্দিন ও বিভিন্ন ধরনের বোটের মাধ্যমে। এ সময়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ জাল ও মাছ জব্দ করা হয়।
একই সঙ্গে অবৈধ জাল ব্যবহার বন্ধ করতে জনসচেতনতামূলক প্রচার চালানো হয়। এই অভিযানে বানৌজা আখতার উদ্দিনের বিশেষ টিম, জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় মৎস্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বাংলাদেশ নৌবাহিনী বিভিন্ন নৌ অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে গতকাল প্রায় ৫ লাখ ৪৩ হাজার ২০০ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল, মশারি জাল, চটজাল, টংজাল এবং ৮টি বেহুন্দি ও অন্যান্য জাল জব্দ করা হয়। এসবের আনুমানিক বাজার মূল্য ৪ কোটি ২০ লাখ ২ হাজার।
তৃতীয় ধাপে বুধবার পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখ ৪৮ হাজার ৮৫০ মিটার বিভিন্ন ধরনের জাল ও ৪১ টি বেহুন্দি জাল জব্দ করা হয়। এসব জালের বাজার মূল্য ৩০ কোটি ৫২ লাখ ৪১ হাজার ৭০০ টাকা। এ অভিযানে এ পর্যন্ত মোট ৮৫ কোটি ২২ লাখ ৪০ হাজার ১০০ টাকার অবৈধ জাল ও মাছ জব্দ করা হয়। অভিযানে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি বৈধ মৎস্য আহরণ নিশ্চিত করতে জেলেদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, খুলনা, মোংলা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, শরীয়তপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও ভোলায় নৌবাহিনীর ১১টি জাহাজ ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বোটের মাধ্যমে জাতীয় মৎস্য সম্পদ সুরক্ষায় ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন’ পরিচালনা করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
