গণমাধ্যমের উপর চড়াও হচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন

২৪

সংবাদ প্রকাশ বা তথ্য সংগ্রহের উপর চেপে বসছে ট্রাম্প প্রশাসনের খড়্গ। প্রেসিডেন্টের সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে কোন মিডিয়া আউটলেট অনুমতি পাবে তা নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে হোয়াইট হাউস।

- Advertisement -

- Advertisement -

যেসব গণমাধ্যম বা লেখক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র ব্যবহার করবে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হবে হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।  এ নিয়ে নতুন আইন প্রণয়নের ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।

মার্কিন সাংবাদিক মাইকেল উলফের নতুন বই ‘অল অর নাথিং: হাউ ট্রাম্প রিক্যাপটেড আমেরিকা’ প্রকাশের পর ট্রাম্প এই মন্তব্য করলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে রিপাবলিকান দলের প্রথম মেয়াদে ২০১৮ সালের বেস্টসেলার বই ‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি: ইনসাইড দ্য ট্রাম্প হোয়াইট হাউজ-এর জন্য পরিচিত এই লেখক।

সর্বশেষ বইটির প্রকাশক ক্রাউনকে উদ্ধৃত করে ইউরোনিউজ জানায়, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য ট্রাম্পের প্রচারের ১৮ মাসজুড়ে এই বইয়ের কাজ করা হয়েছে। ট্রাম্প কীভাবে পুনরায় আমেরিকার ক্ষমতায় এলেন সে বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।

এ নিয়ে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সোশ্যাল ট্রুথে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘বেনামী’ বা ‘অফ দ্য রেকর্ড’ উদ্ধৃতি সহ জাল বই এবং গল্পগুলো বের হচ্ছে।’

ওলফের সর্বশেষ কাজকে ‘মানহানিকর কল্পকাহিনি’ আখ্যা দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এই নির্লজ্জ অসততার জন্য বড় মূল্য দিতে হবে। আমি এটা আমাদের দেশের সেবা হিসেবে করব। কে জানে, হয়তো আমরা কিছু সুন্দর নতুন আইন তৈরি করব।’

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকের খবর সংগ্রহে এপি, রয়টার্স ও ব্লুমবার্গসহ কয়েকটি সংবাদ সংস্থার সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেয়নি হোয়াইট হাউস। ট্রাম্প প্রশাসনের মিডিয়া কভারেজ সম্পর্কিত নতুন নীতি অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, ঐতিহ্যবাহী মিডিয়াগুলো আগের মতোই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সংবাদ সংগ্রহের অনুমতি পাবে। তবে, ওভাল অফিসের মতো ছোট জায়গায় প্রেসিডেন্টের সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে কোন মিডিয়া আউটলেট অনুমতি পাবে তা নির্ধারণ করবে হোয়াইট হাউস।

এক্ষেত্রে, ধাপে ধাপে গণমাধ্যমগুলোকে সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানান হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট।

বাদ পড়া সংবাদ সংস্থাগুলোর অভিযোগ, ট্রাম্প প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করেছে।